অবতক খবর,১৭ সেপ্টেম্বর,বাঁকুড়া:- বালির বাঁধের মতো ভেঙ্গে গেল কংক্রিটের সেতু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন একাধিক গ্রামের মানুষ। ভাঙ্গা ব্রীজ নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা।
কটাক্ষ করে বিজেপি বলেন এটা দিদির উন্নয়ন,দীর্ঘদিন ধরে বালি গাড়ি যাতায়াত এর জন্যই ব্রিজ ভেঙেছে দাবি কংগ্রেসের। দ্রুত যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে বললেন তৃণমূল কংগ্রেস।
খালের ওপারাস্থিত একাধিক গ্রাম,মাঝখানে স্থানীয় একটি খাল তার ওপর দিয়ে প্রত্যহ যাওয়া আসা চলে স্থানীয় বাসিন্দাদের। খাল পথই একমাত্র ভরসা বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের বেলেখালি , কেষপুর, রক্তা, চন্ডিপুর সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের। রুজির টানেই প্রতিনিয়ত ঐ মানুষগুলোকে ছুটে আসতে হয় শহরে। পারাপার করার জন্য বহু বছর পূর্বে কংক্রিটের সেতু নির্মান হলেও গত দুদিনে গভীর বৃষ্টিপাতের জেরে খুড়কুটোর মতো ভেঙে পড়লো কংক্রিটের সেই সেতু।
ঘুরপথে শহর যেতে সময় লাগে প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা কর্মস্থলে পৌঁছতে দেরী হলে চলে যেতে পারে কাজ, থমকে যেতে পারে এই শ্রম নির্ভর মানুষ গুলোর জীবন। বাধ্য হয়েই এক বুক জলে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহযোগিতায় খাল পাড়াপার করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে গৃহবধূরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা এই সমস্যা সুরাহার জন্য বার বার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও এখনো অবদি মেলেনি কোনো সুফল। আর এই ব্রীজকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানোতর সদাই চলমান।
বর্ষা এলেই মানুষগুলোর চোখে নেমে আসে অন্ধকার , মনে আসে ভীতি, তারা ভাবে ‘আজ আছি তো কাল নেই অস্তিত্বে’। প্রজন্মের পর প্রজন্ম একই সমস্যায় বসবাস করা মানুষ গুলো বার বার আর্তি জানাচ্ছে একটা পাকা সেতুর জন্য যাতে করে তারা তাদের জীবনযুদ্ধে সাবলিল ভাবে বাঁচতে পারে এবং কর্ম করে তাদের প্রিয় মানুষগুলোর জন্য দুমটো অন্নের সংস্থান করতে পারে।
দিদির উন্নয়নের ভার সেতুটি নিতে পারেনি দীর্ঘদিন ধরে বালি গাড়ি যাতায়াতের জন্য ব্রিজটি ভেঙে গেছে বললেন বাঁকুড়া জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবু চ্যাটার্জির।