অবতক খবর , শিব শংকর ,বালুরঘাট :- লকডাউনের কোপে চিকিৎসকের অভাবে দীর্ঘ আট মাসের উপর বন্ধ বালুরঘাট পুরসভা পরিচালিত মাতৃসদন।সেখানে নীল সাদা বাড়ি রয়েছে নেই চিকিৎসা পরিষেবা। ক্ষোভ জেলাবাসির। তাদের দাবি অবিলম্বে সুলভ পরিষেবা ফের চালু করুক বালুরঘাট পুরসভা। যদিও বালুরঘাট পুর প্রশাসকের দাবি চিকিৎসকের সমস্যা মেটানোর প্রয়াস চলছে। চিকিৎসক পেলেই তারা ফের তা জেলাবাসির জন্য খুলে দেবেন।
জানা গেছে বালুরঘাট পুরসভা পরিচালিত মাতৃসদন নার্সিং হোম দীর্ঘ আট মাস ধরে বন্ধ থাকায় , শহরবাসী কোন পরিষেবা না পাওয়ায় চড়ম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।মাতৃসদনে অত্যাধুনিক মেশিনের সাহায্যের জটিল অস্ত্রোপচারে পরিষেবা খুবই স্বপ্ল মূল্যে পেতো বলে পুর নাগরিকদের দাবি। এখন তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে চড়া দামে বে-সরকারি নাসিং হোম গুলি অস্ত্রোপচার ও প্রসবের কাজ করছে।
বাম আমলে দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি ঘটানো চাহিদা দিন দিন বেড়েছিল। জেলার বাসিন্দাদের দাবি ছিল জেলায় উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা চালু করার।সেদিকে লক্ষ রেখেই ততকালিন বাম পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভা নয়ের দশকে বালুরঘাট শহরে মাতৃসদন স্থাপন করে।পূর্ণ পরিকাঠামো চালু করতে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের পাশাপাশি নিজস্ব নার্স ও অন্যান্য কর্মীর প্রয়োজনীয়তা আস্তে আস্তে পুরন করে ভালই চলে আসছিল শহরে পুর চিকিৎসা পরিষেবা।
জেলার মানুষও ধীরে ধীরে এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন। এমনকি এই সুন্দর চিকিৎসা পরিষেবা দেখতে একবার রাজ্যের ততকালীন রাজ্যপাল গোপাল কৃষন গান্ধী এই মাতৃসদন ঘুড়ে দেখে গেছিলেন। কিন্তু বাধ সাধল সেই করোনাই। করোনার লকডাউন শুরুর পর থেকেই চিকিৎসকের অভাবে তা দীর্ঘ আট মাসের উপর বন্ধ ।পুরকর্তৃপক্ষের দাবি, চিকিৎসকের বড় সমস্যার জেরে মাতৃসদন বর্তমানে বন্ধ হয়ে রয়েছে। মূলত মাতৃ সদন এর কোন পার্মানেন্ট চিকিৎসক না থাকায় এই সমস্যা । মাতৃসদনের যে সমস্ত চিকিৎসকরা অস্ত্রপচার করত তাদের অধিকাংশ বালুরঘাট সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। করোনার প্রকোপে লকডাউন শুরু হতেই তাদের হাসপাতাল ছেড়ে বাইরের পরিষেবা দুষ্কর হয়ে পড়ায় মাতৃসদনের চিকিৎসা পরিষেবা ব্যহত হওয়ায় তা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় পুরকর্তিপক্ষ। যদিও বর্তমানে ওই একই চিকিৎসকরা বে-সরকারি নার্সিং হোমে সাথে অধিকাংশ যুক্ত থেকে চড়া দামে চিকিৎসা পরিষেবা চালানোয় স্বাভাবিক চিকিৎসকের অভাব বন্ধ থাকার কারণ হিসেবে পুরকর্তৃপক্ষ দাবি করছে তা নিয়েও শহর জুড়ে জোর শোরগোল পড়েছে। শহরবাসির মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। শহরবাসির দাবি অবিলম্বে ফের চালু করা হোক মাতৃসদনের সুলভ মুল্যের চিকিৎসা পরিষেবা।অপরদিকে বালুরঘাটের মহকুমা শাসক ও বালুরঘাট পৌরসভার প্রশাসক বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, মাতৃসদনের চিকিৎসকের বড় সমস্যা রয়েছে। চিকিৎসক পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য দপ্তরের সাথে কথা বলেছি। খুব শিগগিরই স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফের চিকিৎসকের জন্য একটা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে ,আশা করছি সমস্যার সমাধান এ বছরের শেষে হয়ে যাবে ।