চোদ্দ বছর রাজত্বকাল প্রায় অতিক্রান্ত বাস্তুঘুঘুর। বাস্তুঘুঘু এখন নিজেই বলছে সদর দপ্তরে কামান দাগো। ঘুঘুরা বাসা বেঁধেছে তার ক্যাবিনেটে। বাস্তুঘুঘুর এখন টনক নড়েছে। ভোট কি আসে? তাই কি যত ঘুরঘুর জনতার পাশে!
বাস্তুঘুঘু
তমাল সাহা
চোদ্দ বছর কাটলো খাসা।
বাস্তুঘুঘু এখন বলে,
ভাঙবো এবার ঘুঘুর বাসা।
বাস্তুঘুঘু আরো বলে,
কে কোথায় করছে কী
আমি তো সব জানি।
জানিনা শুধু
কোটি টাকার গাড়ি
করছে কারা,
করছে কামাই এত মানি!
বাস্তুঘুঘুর ছানারাই
বেচে দিচ্ছে জমি।
হচ্ছে ভরাট পুকুর
খাদান থেকে খাচ্ছে কাটমানি।
লক্ষ টাকার বৈঠকবাজি
স্রেফ ফাঁকা আওয়াজ।
এটাই এখন বাস্তুঘুঘুর
লোকদেখানো রেওয়াজ।
বাস্তুঘুঘু চাললো এবার চাল–
তিনদিনে মেটাও শিল্প বিরোধ
নচেৎ প্রজাদের নিশ্চিত প্রতিরোধ।
এত শ্রমিক-প্রীতি
কেউ দেখেনি আগে।
শিল্পপতিদের সেমিনার,
আমলাতন্ত্র তার আগে ভাগে।
বাস্তুঘুঘুর বছর বছর
চলছে এই সামিট।
শিল্পওয়ালা গল্প লেখে
আলো জ্বলে মিটমিট।
বাস্তুঘুঘু রীতিমতো বিপ্লবী এখন।
সদর দপ্তরেই দাগে কামান।
ভূমি দপ্তর,পিএইচইই নাকি
করছে হয়রান!
বাস্তুঘুঘুর হাতে পুলিশ দপ্তর
টিয়ার গ্যাস, বন্দুক, জলকামান।
বাস্তুঘুঘু জানেনা
পুলিশ দপ্তরই দুহাতে কামান।
বাস্তুঘুঘুর পায়ে তো চটি
পরনে শাড়ি জামদানি।
বাস্তুঘুঘুর এক টাকা বেতন
তাহলে কী করে এত আমদানি!