অবতক খবর,১৯ মে: দীর্ঘদিন মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে অবস্থান-বিক্ষোভ করছিলেন কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষার চাকরি প্রার্থীরা। তারা দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন একটি শৌচালয়ের ব্যবস্থা তাদের জন্য করা হোক। তারপরেই ময়দান থানা পুলিশ আধিকারিকরা কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়রের কাছে জানান।উল্লেখ্য কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়রের তত্ত্বাবধানে আজ মাতঙ্গিনী হাজরায় শারীর শিক্ষা ও কর্ম শিক্ষার চাকরি প্রার্থীদের জন্য বায়ো টয়লেটের বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়। একটি মহিলা ও একটি পুরুষ বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়।
তারপর এই দিনই হঠাৎই কলকাতা কর্পোরেশনের ৫০নং ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর ঘোষ সজল ঘোষ একটি টেম্পু গাড়ি করে ৬০-৭০টি বাঁশ নিয়ে আসে। কার্যত দীর্ঘদিন ধরে বসে থাকা শারীর শিক্ষা কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের ওই বাঁশ দিয়ে একটি প্যান্ডেল ঘর তৈরি করতে যান। তারপর ডিসি সাউথ আকাশ ভার্নিয়া বিজেপি নেতা সজল ঘোষ এবং চাকরিপ্রার্থীদের সাফ জানিয়ে দেন মাতঙ্গিনী হাজরা এলাকাটি আর্মির এলাকা। এই এলাকায় আর্মির অনুমতি ছাড়া কোনোরকমই প্যান্ডেল তৈরি করা যাবে না।
তারপরই শুরু হয় পুলিশের সাথে বচসা। এমতাবস্থায় পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ চাকরিপ্রার্থীদের আত্মহত্যা করার প্ররোচনা দেন। তারপরই কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের একজন মহিলা গলায় ওড়না দিয়ে বটগাছের ডালে ঝুলে পড়ার হুমকি দিতে থাকে। একইসাথে সাউথ ডিসি আকাশ ভার্নিয়া ও ময়দান থানার পুলিশের তৎপরতায় ওই মহিলাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
তারপরে পুলিশের সাথে দীর্ঘক্ষণ বচসা হওয়াতে পুলিশ বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে সহ কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের ৫০জনকে গ্রেফতার করে লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই এলাকায় বিশাল লাঠিধারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।