অবতক খবর,২৬ সেপ্টেম্বর,চাঁচল:সানু ইসলামঃ অকারনে কাটা হচ্ছে সাফাই কর্মীদের বেতন, নির্ধারিত সময় ঢুকছেনা বেতন, একাধিক সমস্যায় জর্জরিত হাসপাতালের অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা। মঙ্গলবার বেতনের টাকা কেন কাটা হলো এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভের শামিল হলেন চাচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে থাকা সাফাই কর্মীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে বিক্ষোভ, সাফাই কর্মীদের কর্ম বিরতি ও বিক্ষোভের জেরে অচলাবস্থা দেখা যায় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।

জানা গিয়েছে, মালদহের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সাফাই কর্মী, গ্রুপ ডি স্টাফ ও নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে মোট সংখ্যা ১৫১ জন। এরা প্রত্যেকেই একটি সংস্থার অন্তর্ভুক্ত। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এই সাফাই কর্মীরাই নিজেদের জীবন বাজি রেখে হাসপাতাল সাফাইয়ের কাজ করেছেন। অথচ, নতুন সাফাই এজেন্সি দায়িত্বে আসার পরেই চাচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সমস্ত সাফাই কর্মীদের বেতন কাটছাট করা হয়েছে। প্রত্যেকজন সাফাই কর্মীর বেতন থেকে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা কোন কারন ছাড়াই কেটে নেওয়া হয়েছে। একাধিকবার এজেন্সিকে জানিও কোন সূরাহা হয়নি। যার দরুন মঙ্গলবার বিক্ষোভের পথে হাঁটলেন সাফাই কর্মীরা। এদিন সকাল থেকে হাসপাতালে কর্মবিরতি রাখেন সাফাই কর্মীরা তারপর হাসপাতালে মূল ফটকের সামনে তুমুল বিক্ষভ প্রদর্শন করেন। মূলত কি কারণে তাদের পরিশ্রমের টাকা কাটা হলো সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভে শামিল হন শতাধিক সাফাই কর্মী। এদিকে সাফাই কর্মীদের কর্মবিরতির জেরে অচল অবস্থা দেখা যায় চাঁচল সুপারস্পেস্যালিটি হাসপাতালে। হাসপাতালের মহিলা পুরুষ ওয়াটসহ একাধিক ওয়ার্ডে নোংরা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটে থাকে, দুর্গন্ধে টেকা দেয় রোগী সহ রোগীর পরিবারের।তবে সাফাই কর্মীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কোনো রকম কোনো মন্তব্য করতে চাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।