অবতক খবর , রাজ্ , হাওড়া :- বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি না। মমতার পাশেই আছি দাবি করলেন সাংসদ । ওড়ালেন বিজেপিতে যোগদানের সমস্ত জল্পনা। সৌমিত্রর বিস্ফোরক মন্তব্যের পর প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করা হলে তিনি বিজেপি সাংসদের এই দাবি কার্যত নস্যাৎ করে দেন। সৌমিত্রর এই দাবি শুনে হো হো করে হেসে ওঠেন।

শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে শাহী সভায় পদ্ম পতাকা ধরেছিলেন বর্ধমান পূর্বের ‘তৃণমূল সাংসদ’ সুনীল মণ্ডল। জল্পনা চলছিল আরও অনেক নাম নিয়েই। নজরে ছিল হাওড়া। বিশেষ করে ‘বেসুরো’ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পদত্যাগী মন্ত্রী লক্ষ্মীকে নিয়ে সেই জল্পনা আরও চরমে ওঠে। এরই মধ্যে বুধবার হাওড়া ময়দানে বিজেপির যোগদান মেলায় এসে কার্যত বোমা ফাটালেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় এবং অর্জুন সিংদের সামনেই সৌমিত্রর ঘোষণা, “বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।”

এ দিন তিনি বলেন, “একজন ক্রিকেটার আগেই চলে এসেছেন এবার ফুটবলারও থাকবেন না। বিজেপিতে চলে আসবেন।” অর্জুন পুরস্কার প্রাপক প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেই তিনি বলেন, ‘ফুটবলারও বিজেপিতে আসবেন।’ সৌমিত্রর এই বিস্ফোরক মন্তব্যের পর প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করা হলে তিনি বিজেপি সাংসদের এই দাবি কার্যত নস্যাৎ করে দেন।

সৌমিত্রর এই দাবি শুনে হো হো করে হেসে উঠে তিনি জানান, “এটা কোনও কথা হল। আমার একটা নীতি আছে। হাওড়ার মানুষ আমায় গণ্ডা গণ্ডা ভোট দিয়ে পরপর তিনবার জিতিয়েছে। এবার সাংসদের মধ্য আমি সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছি ৪৭ শতাংশ। এগুলো খুব বালখিল্যতা হচ্ছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “মমতাকে আমি ভালবাসি, শ্রদ্ধা করি। যে যুদ্ধ উনি করেছেন তার সঙ্গে আমি ছিলাম। উড়ে এসে জুড়ে বসিনি। হাওড়ার মানুষ আমায় তিনবার ভোট দিয়েছে, তাঁরাও বা কী ভাববে। তিনি দাবি করেন যদি কেউ মমতার পাশে না থাকে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবে।”

শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে চলে যাওয়ার ঘটনাকে কীভাবে দেখছেন প্রসূনবাবু। তাঁর স্পষ্ট জবাব, “আমি শুভেন্দুকে ভীষণ ভালবাসতাম। ওঁর বাবাও মাঠে আসত। আমার খারাপ লেগেছে। শুভেন্দুর মনখারাপ, অভিমান অবশ্যই হতে পারে। একটা পরিবারে বাবা-মা সব ছেলেকে সবসময় সমানভাবে দেখতে পারে না। এই দুঃসময়টা যদি তিনি জড়িয়ে ধরে থাকতেন, তাহলে বোধহয় বেশি ভাল হত। আরও সুন্দর হত, সুরভী হত।”