অবতক খবর,রাজীব মুখার্জী, হাওড়া :- বিধানসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আদিবাসী এবং মতুয়া পরিবারের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন অন্য এক মাত্রা যোগ করেছে। এর আগেও অমিত শাহ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু সহ বিজেপির প্রথম সারির নেতারা একাধিক দলিত পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন সেরেছেন।

কিন্তু ওইসব পরিবারের পরিস্থিতির আদৌ কোনও পরিবর্তন হয়নি। এমনকি ওইসব পরিবারের লোকেদের অভিযোগ,বিজেপি নেতারা পরবর্তীকালে তাদের কোনো খোঁজখবরটুকু পর্যন্ত নেননা। এমনই এক পরিবার হাওড়া স্টেশন লাগোয়া ট্যান্ডেলবাগান রেল কোয়ার্টারের জগদীশ মল্লিকের পরিবার। হাওড়া স্টেশনের দলিত সাফাইকর্মী জগদীশ মল্লিক ২০১৫ সালের জুন মাসে চাকরি থেকে অবসর নেন। তার পরেও তিনি তার ভাঙাচোরা কোয়ার্টারে থাকতেন।

২০১৭ সালের ১৪ ই এপ্রিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু হাওড়ার গোলমোহরে একটি অনুষ্ঠান শেষে সটান হাজির হন জগদীশ বাবুর বাড়িতে। সেখানেই তিনি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও অন্যান্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল রুটি, ঢেঁড়স ভাজা, তরকারি সন্দেশ,রসগোল্লা।

সকাল থেকেই জগদীশবাবু, তার স্ত্রী এবং পরিবারের অন্যান্য লোকেরা ব্যস্ত ছিলেন প্রায় ২৫ জনের রান্নাবান্নায়। নিজের বাড়িতে রেলমন্ত্রীকে খাওয়াতে পেরে খুশি হয়েছিলেন ওই পরিবার। কিন্তু বর্তমানে আক্ষেপ ঝরে পড়ল জগদীশবাবুর গলায়। তিনি জানান, ওই অনুষ্ঠানের পর বিজেপির কোন কেন্দ্রীয় বা রাজ্য নেতা তাদের খোঁজ খবর নেয়নি। এমনকি তিনি যে রেলের কোয়ার্টারে থাকেন সেখানে তার নিজস্ব কোন ঘর পর্যন্ত নেই। রেল কোয়ার্টারে বর্ষাকালে জল জমে যায়। মশার উপদ্রবে ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার মত রোগের উপদ্রব হয়।

ফলে মন্ত্রী এলেন খেলেন কিন্তু তাদের কপালের দুঃখ শেষ হলনা , বলে জানান তিনি। ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু ভোটের আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের দলিত পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন স্রেফ দলিতদের মন জয়ের একটা চেষ্টা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এতে ঐ সমস্ত পরিবারগুলি আদৌ কতটা উপকৃত হচ্ছেন তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।