অবতক খবর: পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে কি বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প? শাসকদলের নেতাই হোক, কী বিরোধী দলের নেতা৷ এই একটি প্রকল্পই কেন বারবার উঠে আসছে নেতাদের মুখে! গত সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ধূপগুড়ির প্রচারসভায় জানিয়েছিলেন, মোদিজির সরকার তৈরি হলে, ৫০০ টাকা নয়, একেবারে ২০০০ টাকা দেওয়া হবে মা-বোনেদের৷ এমনকি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও একাধিক সভায় দাঁড়িয়ে খানিক একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ যদিও, বিরোধীদের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে এমন উৎসাহকে তীব্র কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে৷
দক্ষিণ দিনাজপুরে গত কয়েকদিনের প্রচার সভায় এই টাকা দেওয়ার প্রকল্পের বিষয়টি আরও স্পষ্ট করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ তিনি জানিয়েছেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নয়! সেই নাম যাবে বদলে৷ বিজেপি ক্ষমতায় এলে তারা মা-বোনেদের ২০০০ টাকা করে দেবে৷ সেই প্রকল্পের নাম হবে ‘অন্নপূর্ণা যোজনা’৷
অর্থাৎ, নাম বদল হলেও প্রকল্প পরিষেবা ধরন থাকবে এক৷ বাড়বে টাকার অঙ্কও৷ অন্তত তেমনটাই দাবি সুকান্ত মজুমদারের৷
সোমবার বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়িতে সভা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল সরকারকে নিশানা করতে গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়েও বড়সড় আশ্বাস দিতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। বিরোধী দলনেতা আশ্বাসের সুরে, ‘‘মোদিজি এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ২০০০টাকা দেওয়া হবে। ক্যাবিনেটের প্রথম মিটিং-এ পাস হবে প্রস্তাব।’’ এমনকি, এখনও যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন না, তাঁদের হয়ে তিনি আদালতে যাবেন এবং টাকা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু৷
অন্যদিকে, এদিনই শুভেন্দু-সুকান্তর নাম না করে অভিষেক পুরুলিয়ার প্রচার সভায় কটাক্ষ করেন, ‘‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি আর বিরোধী দলনেতার প্রতিযোগিতা চলছে। এতদিন বলত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার খারাপ। আর এখন বিজেপি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ২০০০ টাকা দেবে বলেছে।’’
এরপরেই তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘বিজেপির যে সমস্ত রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী যদি রাজ্যের মহিলাদের ১০০০ টাকা করে লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে টাকা দিতে পারেন, আমি রাজনীতির আঙ্গিনায় পা রাখব না।’’ অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, ‘‘১২টা রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। একটা রাজ্যে করে দেখাতে পারলে আমি রাজনীতিতে পা রাখব না৷’’