অবতক খবর :: জলপাইগুড়ি ::  বিজেপির জেট পি ৫ নং মন্ডলের সদস্য সুজিত বিশ্বাস, অঞ্চল কমিটির ৫ জন সদস্য সহ ৬৯ টি পরিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। বৃহস্পতিবার মাথাভাঙ্গা ২ নং ব্লকের ফুলবাড়ী অঞ্চলের ক্ষেতী বাজার সংলগ্ন ৮ নং বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের নবীকরণ সভার মধ্য দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এদিন বিজেপি থেকে আসা কর্মী-সমর্থকের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন। এছাড়াও জেলা পরিষদের সদস্য নিলিমা বর্মন, মাথাভাঙ্গা ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মদক্ষ কুরুনা বর্মন, ফুলবাড়ী অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সুজয় বর্মন ও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মনোজ বর্মন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এদিনের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়,বৃহস্পতিবার ফুলবাড়ি অঞ্চলের ক্ষেতী বাজার সংলগ্ন ৮ নং বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের নবীকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।নবীকরণ সভার মধ্য দিয়ে ৬৯ টি পরিবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। জানা যায়,কোচবিহার জেলা বিজেপির জেট পি ৫ মণ্ডল কমিটির সদস্য সুজিত বিশ্বাস,বিজেপির বুথ সভাপতি সন্তোষ পোদ্দার, বিজেপির বুথ সম্পাদক অমৃত দাস এবং অঞ্চল কমিটির ৫ জন সদস্য সহ ৬৯ টি পরিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তারা জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের কাজ ও আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিজেপি ত্যাগ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এদিন তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন। তিনি এদিনের সভা থেকে পেট্রোপণ্য, ডিজেল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও রান্নার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। পাশাপাশি বিজেপি থেকে আসা কর্মী- সমর্থকদের মর্যাদার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে জায়গা দেবেন বলে তিনি জানান।

অন্যদিকে বিজেপির জেট পি ৫ নং মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত বর্মন জানিয়েছেন,যারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন তারা বিজেপির কর্মী- সমর্থক নন। তারা তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতিগ্রস্ত নিষ্ক্রিয় কর্মী আজকে তারাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। ভারতীয় জনতা পার্টি একটি স্বচ্ছ দল, এখানে দুর্নীতিগ্রস্ত লোকের কোন জায়গা নেই। পাশাপাশি তিনি বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়েও রাজনীতি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখনো পর্যন্ত অনেক পরিযায়ী শ্রমিক চালের জন্য কুপন পাননি। কুপন নিয়েও রাজনীতি করছে তৃণমূল শাসিত গ্রাম পঞ্চায়েত।