নিজস্ব সংবাদদাতা :: অবতক খবর :: ১১ই ডিসেম্বর :: নৈহাটী ::গতকাল নৈহাটি ৬ নং বিজয়নগরে বিজেপির সক্রিয় সমর্থক বিষ্ণু অধিকারী সহ বিপ্লব,কালুয়া সমেত মোট ১ হাজার জন নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, পৌর প্রধান অশোক চ্যাটার্জী ও কাউন্সিলর তথা স্বাস্থ্য ও জঞ্জাল বিভাগের পারিষদ সনৎ দে-র উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস জেলার সাধারণ সম্পাদক সুবোধ অধিকারী হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করলেন।
পার্থ ভৌমিক তার ভাষনে কেন্দ্রীয় সরকার লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্হাগুলিকে বিক্রি ও জোর করে এনআরসি এবং সিটিজেনশিপ অ্যামেন্টমেন্ট বিলের বিরোধিতা করার সঙ্গে সঙ্গে মোদীজির এক জাতি, এক দেশ,এক নীতি,এক প্রতীক করা সত্ত্বেও মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ,নাগাল্যান্ডকে বিরত রেখে বাংলায় এনআরসি করার লক্ষ্যে বাংলার সঙ্গে বিমাতৃসুলভের আচরন সৃষ্টি করার অভিযোগ করেন।
কাউন্সিলর সনৎ দে তার ভাষণে গত ২৩শে মে-র পর হনুমানের দল মাথায় ফেট্টি বেঁধে জয় শ্রীরাম বলে এলাকায় তাণ্ডব সৃষ্টি করে ভয়ের পরিবেশ গড়ে তুলেছিল বলে জানান। তিনি আরো অভিযোগ করেন,সেই তান্ডব চলাকালীন তার ছেলেও নিস্তার পায়নি ।
এ প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি তৃণমূলে আসা বিষ্ণু অধিকারী বলেন,মতিভ্রম হয়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। যেখানে জয় শ্রীরাম ছাড়া কেবলমাত্র মানুষজন বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে, বাঙালি অবাঙালি বিভেদ করে গন্ডগোল সৃষ্টির জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন। যেখানে বিজেপি দলের নেত্রীর নিরাপত্তা নেই, তাহলে সাধারণ মানুষ কিভাবে বিজেপি কাছে সুরক্ষিত থাকবে?
অন্যদিকে বিজেপির উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বিষ্ণু অধিকারীর তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে বলেন,এই সরকার আমলে কেউ সুরক্ষিত নন। দলের নেতা ও কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর হচ্ছে। এমনকি রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও সুরক্ষিত নন। বিষ্ণু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে গেছে।