অবতক খবর,৩০ আগস্ট,মহিষাদলঃ মহিষাদল রাজবাড়ী। এই রাজবাড়ীকে ঘিরে ইতিহাসের পাতায় নানা কাহিনী রয়েছে। সেই কাহিনী জানতে এবং নিজের চোখে দেখতে দেশ- বিদেশের পর্যটকরা ভীড় জমান মহিষাদল রাজবাড়ীর পর্যটন কেন্দ্রে।

কালের ক্রমে অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটেছে। ভেঙ্গে পড়েছে প্রাচীন রাজবাড়ী, ঠাকুরদালান থেকে রাজবাড়ীর রস্তাঘাট।
সেই সমস্ত ভগ্ন ঠাকুরদালান, রাস্তাঘাট মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির ও মহিষাদলের বিধায়কের উদ্যোগে।

পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে বিভিন্ন সংগঠন ও সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে বনসৃজন গড়ে তোলা হয়েছে। রাজবাড়ীকে হেরিটেজের আওতায় নিয়ে উন্নয়ন করা চেস্ট চল্লেও পুজোর আগে যাতে রাস্তাঘাট ও মহিষাদল রাজবাড়ীর প্রাচীন দেবি দূর্গার ঠাকুরদালান সংস্কার করা যায় তার জন্য ইতিমধ্যে মহিষাদ পঞ্চায়েত সমিতি ও স্থানিয় বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীর উদ্যোগে কাজ শুরু হয়েছে। মহিষাদল রাজবাড়ীর কয়েক একর জায়গা জুড়ে যেমন দেবী দুর্গার মন্দির, গোপাল জিউ এর মন্দির রয়েছে তেমনি মুসলিম সম্প্রদায়ের মাজার রয়েছে। এলাকার মানুষ ও আগত পুর্যটকরা যাতে মন্দির, মাজার দর্শন করার পাশাপাশি রাজবাড়ীর আম্রকুঞ্জ ও বড় বড় দিঘি সহ রাজবাড়ীর অপরূপ পরিবেশ দেখতে পারে তার জন্য ঢালাই রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী জানান, মহিষাদলের প্রচীন রথের মতো মহিষাদল রাজবাড়ীর সুনাম রয়েছে। দেশ- বিদেশের পর্যটকরা রাজবাড়ী দেখতে আসেন। তাদের কথা ভেবেই আমরা কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে রাস্তা ঘাট মেরামতি, ঠাকুরদালান সংস্কার, বাথরুম সহ নানাবিধ উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করে দিয়েছে।

মহিষাদল রাজবাড়ীর বর্তমান সদস্য হরপ্রসাদ গর্গ জানান, এলাকার মানুষ ও পর্যটকদের কথা ভেবে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি ও বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী আমাদের সাথে আলোচনা করে উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করেছেন। আমরা ভীষন খুশি। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলাপ আলোচনা করে আরও যাতে উন্নয়ন করা যায় সেদিকেও আমাদের নজর থাকবে।