অবতক খবর , নদীয়া :      পরিবহন ব্যবস্থায় বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতি, সরকারি উদাসীনতা এবং স্মৃতি বা আবেগের কারণে বিবর্তিত হতে না পারা বেশকিছু বিশ্বকর্মার খোঁজ পাওয়া গেল আজ।

নদীয়ার শান্তিপুর শহরের স্টেশন, কাশ্যপপাড়া, থানার মোড়, নতুনহাট, ডাকঘর বাস স্ট্যান্ড, ডাকঘর নেতাজি মোড় প্রত্যেক জায়গায় পৌরসভা কর্তৃক অনুমোদিত সংখ্যা উল্লেখ করে সাইনবোর্ড লাগানো থাকতো। সে সময় যাত্রী পরিবহনের স্থানীয় ব্যবস্থা বলতে একমাত্র রিক্সাই ভরসা ছিলো । কালের বির্বতনে, বিজ্ঞানের উন্নতিতে, জনসাধারনের সময় বাঁচাতে পরবর্তীতে ভ্যান, বর্তমানে টোটো বা টুকটুকি। তবে সরকারিভাবে কিন্তু সেই রিক্সা স্ট্যান্ড বলেই উল্লেখিত আছে এখনো! কিন্তু কেমন আছেন তারা? জানতে গিয়ে, দেখা গেলো, অধিকাংশ স্ট্যান্ড থেকেই আজ তারা বিতাড়িত। কোথাও ট্যাক্সি, প্রাইভেটকার ম্যাটাডোর কোথাও বা টুকটুকি জায়গা করে নিয়েছে। কোথাও বা ৫০, ৬০ বছর ধরে চলে আসা বিশ্বকর্মা পুজোর বেদিই ভেঙে ফেলা হয়েছে ফুটপাতের পাশে দোকান করার তাগিদে। কিন্তু কাশ্যপ পাড়ার রামাদা, স্টেশনের শ্যামা দা, ডাকঘরের নিবারণ দা র কথা আমরা খোঁজ না নিলেও কলকাতা থেকে শান্তিপুরের আত্মীয় বাড়িতে আসা বর্তমানে যোগাযোগের অভাবে অথবা বয়স জনিত কারণে পৌঢ়েরা আজও নানান স্মৃতিচারণা করেন তাদের নিয়ে।

রিকশায় আত্মীয় বাড়িতে পৌঁছানোর সময় অথবা বাড়ি থেকে রেল স্টেশনে যাওয়ার সময় বকশিশের সাথেই সুখ-দুঃখের অনেকটাই ভাগ করতেন তাদের সাথে। আজ বিশ্বকর্মা পুজো সকলে আনন্দে! অথচ কর্মহীনতার ক্লান্তিতে, স্মৃতি রোমন্থনের আবেগে নিজেকে বিবর্তিত না করার কারণে আজ তারা ব্যাকডেটেড। প্রণাম সেই সকল বিশ্বকর্মা দের।