হক জাফর ইমাম, মালদা :: স্বামী এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে ফাঁসিতে ঝোলানোর অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি মদ, জুয়া খেলারও নেশা রয়েছে অভিযুক্তের। এই নিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগেই ছিল। পুলিশ ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য চাঁচল মহকুমায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বধূর নাম সামি আক্তারি(২৫)। চাঁচল থানার চাঁচল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের থাঘাটি গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়ি।
অভিযুক্ত স্বামী সানিউল আলি পেশায় চাষি। বছর সাতেক আগে তাঁদের সামাজিক মতে বিয়ে হয়। তাঁদের ৩ বছরের একমাত্র পুত্রসন্তানের নাম আবতাব আলি। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখা যায়। গলায় তাঁর ওর্ণা জড়ানো ছিল। যদিও মৃতার পরিবারের লোকেরা খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখেন, তাঁদের মেয়েকে বাড়ির উঠোনে ফেলে রাখা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় মালদা মেডিক্যালের মর্গে।
ঘটনার পরই স্বামী সানিউল ও শাশুড়ি গুণিয়ার বেওয়ার নামে চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাবা কলিমুদ্দিন শেখ। মৃতার ভাই সুমসিল আলি অভিযোগ করে বলেন,‘জামাইবাবু দীর্ঘদিন ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত। মাঝে মধ্যেই ফোনে তাদের মধ্যে কথা হয়। এই নিয়ে দিদি কিছু বলতে গেলেই তাঁকে মারধর করা হত। সপ্তাহ খানেক আগে দিদি তাদের ধরে ফেলে। এই নিয়ে অশান্তি চরমে ওঠে।
দিদি প্রতিবাদ করায় ব্যাপক মারধর করা হয় তাঁকে।’ সুমসিল আরও অভিযোগ করে বলেন,‘দিন চারেক আগে অশান্তি চরমে উঠলে দুই পরিবার বসা হয়। তাতে ঠিক করা হয়, সোমবার সালিশিসভা ডাকা হয়েছিল। আমরা সেদিন দিদিকে বুঝিয়ে শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসি। এরই মধ্যে খুন করে ফেলে দিদিকে। ওরাই আমাদের দিদিকে মেরে ফেলেছে। দিদির গোটা শরীরে চোট রয়েছে।’ অভিযোগ পাওয়ার পর পরই চাঁচল থানার পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী সানিউলকে গ্রেপ্তার করেছে।