লকডাউন পিরিয়ডে পুরো কামাইবাজি কাঁচরাপাড়ায়
অবতক খবর,২৫ আগস্ট: লকডাউনে সব স্তব্ধ। কিন্তু কাজ চলছে,কামাইবাজির কাজ। তলে তলে বলব না,এখন যে অঞ্চলের কথা বলবো সেখানে তলে তলে কোনো কাজ হচ্ছে না, প্রকাশ্যেই হচ্ছে। বিবেকানন্দ হকার্স মার্কেটে ১৭০ টি দোকানদার ছিলেন বলে জানা ছিল এবং এই হিসেব যে, বছর দুয়েক আগে বিবেকানন্দ হকার্স মার্কেটে আগুন লেগেছিল সেখান থেকেই পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছিল। সেই দোকানদাররা আবার দোকান পেয়েছেন।
পরবর্তীতে বেআইনিভাবে আরো কিছু দোকান হচ্ছিল। এখন পুরোপুরি লকডাউনের পিরিয়ডে আরো দোকানঘর নির্মাণ হচ্ছে। আসলে দোকানঘর নির্মাণ হচ্ছে সেটা বড় কথা নয়। হয়তো বেকাররা সেই দোকান পাবেন। কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কামাইবাজি। এর সঙ্গে রয়েছে মমতা ব্যানার্জী যে কাটমানির কথা বারবার বলেছেন,সেই কাটমানি। সেই তোলা তোলার সঙ্গে তাঁর শাসক দলের রাজনৈতিক নেতারাই জড়িত বলে সূত্রের খবর।
এইভাবে লকডাউন পিরিয়ডে যা চলছে, যেভাবে কামাইবাজির খেলা চলছে সেটা শাসক শ্রেণী অর্থাৎ দলের কাছে আগামী নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। কারণ জনসমক্ষে এই যে কামাইবাজি চলছে ঠিক নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে,এটি জনসমক্ষে ধরা পড়বে,এ ব্যাপারে শাসকশ্রেণীরই অসুবিধা হবে। এই অঞ্চলের যে শাসক শ্রেণী অর্থাৎ তৃণমূলের নেতৃবৃন্দই বুঝতে পারছেন না। জনগণ এই সমস্ত প্রত্যক্ষভাবে দেখছেন এবং তাদের বিপক্ষে চলে যাবেন।
এই কামাইবাজির খেলা কাঁচরাপাড়া আর কতদিন চলবে? আর এ সবই চলছে একদম রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে এবং এর সঙ্গে রাজনৈতিক নেতারা সরাসরি যুক্ত। তবে এও সত্য, এই কামাইবাজির বিরুদ্ধে বেশ কিছু বরিষ্ঠ তৃণমূল নেতা ও কর্মী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তারা কোনো অজানা আশঙ্কায় মুখ খুলতে চাইছেন না।
অন্যদিকে অন্যান্য রাজনৈতিক বিরোধীদলের নেতারা বলছেন যে, এই যে সমস্ত দোকানপাট দেওয়া হচ্ছে,তাও কাঁচরাপাড়ার বহিরাগতদের। তারা যদি এই দোকানপাট কাঁচরাপাড়ার মানুষকেও দিত তাহলে কোন অভিযোগ থাকতো না সেখানে কামাইবাজি থাকুক আর যাই থাকুক। কিন্তু বহিরাগতরা এই দখলিস্বত্ব পাচ্ছে, তাদের কাছ থেকেই মোটা টাকা কামাই করা হচ্ছে।
আর অদ্ভুতভাবে দেখা যাচ্ছে যে, বিবেকানন্দ হকার্স মার্কেটে যারা দখলিস্বত্ব পেয়েছিলেন, যাদের নাম করে দোকান নেওয়া হয়েছিল, তারা অনেকেই এখন সেই দোকান বিক্রি করে দিয়েছেন। বিক্রি করে দিয়ে তারা এখন গান্ধী মোড় থেকে স্টেশন পর্যন্ত ফুটপাত দখল করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এইরকম একটা পরিস্থিতি লকডাউন পিরিয়ডে চলছে। অর্থাৎ করোনা কিছু করুক আর না করুক এটা যে একটা পণ্য হয়ে গেছে, ব্যবসায়ী মুনাফার যে একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, এটাকে কেন্দ্র করে কাঁচরাপাড়ায় মুনাফাবাজি চলছে, এই কামাইবাজি চলছে। করোনা তাদের এই সুযোগ এনে দিয়েছে।