অবতক খবর: রেজাউল করিম, মালদা :- কাজের গতি আনতে ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজের তদারকি শুরু করল জেলা প্রশাসন। ব্লকে ব্লকে গিয়ে বৈঠক করে কাজের তদারকি শুরু করেছে তারা। বিশেষত ১০০ দিনের কাজ, বাংলা আবাস যোজনার দিকে নজর দিচ্ছে বেশি। মঙ্গলবার কালিয়াচক-১ ও ৩ ব্লক নিয়ে বৈঠক হয়ে গেল।
যদিও কালিয়াচক-৩ ব্লকের ১০০ দিনের কাজে খুশি জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। তুলনামূলক পিছিয়ে কালিয়াচক-১ নম্বর ব্লক। বকেয়া কাজ দ্রুত সম্পূর্ণ করার ব্যাপারে নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন জেলাশাসক। এদিন বৈষ্ণবনগরের “প্রমোদ ভবন” কমিউনিটি হলে উন্নয়ন নিয়ে রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এদিন দুপুরে মিটিং শুরু হয়। কয়েক ঘন্টা ধরে চলে এই বৈঠক।
এই বৈঠকে জেলাশাসক ছাড়াও হাজির ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অর্নব চ্যাটার্জি, অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) অশোক মোদক, এসডিও সুরেশ রানো, মালদা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি চন্দনা সরকার-সহ ছিলেন কালিয়াচক-১ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও সোমনাথ ঘোষ, কালিয়াচক ৩ ব্লকের বিডিও গৌতম দত্ত, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আতিউর রহমান ও সাহানাজ বেগম সহ অন্যরা। মূলত দুই ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও নির্মাণ সহায়কদের নিয়ে বৈঠক। মোট ২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি হাজির ছিলেন। জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি চন্দনা সরকার জানান, ‘সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প ধরে ধরে কাজের খতিয়ান নিয়ে পর্যালোচনা করেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। ব্লক ভিত্তিক বৈঠক চলছে। আমাদের এখানে কালিয়াচক-৩ ব্লকের কাজে বেশ সন্তুষ্ট প্রশাসনের কর্তারা। তুলনামূলক পিছিয়ে কালিয়াচক-১ ব্লক। ১০০ দিনের কাজে মাটি কাটার কাজ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে সম্পূর্ণ হয় নি। নভেম্বরের মধ্যে করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।’ জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, ‘সরকারি উন্নয়নমূলক কাজে খতিয়ান নিয়ে মূলত বৈঠক। সরকারি প্রকল্পগুলির সমন্বয় রেখে কাজ করার হচ্ছে। পাশাপাশি কাজের গতি আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাই ব্লকে ব্লকে বৈঠক হচ্ছে। গতকাত আমাদের বামনগোলা ও হবিবপুর নিয়ে বৈঠক হয়ে যায়।’