অবতক খবর, হক জাফর ইমাম, মালদা :: বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানের সুযোগে এক শিশুকন্যাকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল মালদা ইংরেজবাজার শহরে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত ১০টা নাগাদ মালদা ইংরেজবাজার শহরের ৩৪ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া বুড়াবুড়িতলা এলাকায়। শিশুচোর সন্দেহে এক যুবককে ধোলাই দেয় শিশুকন্যাটির আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় মালদা ইংরেজবাজার থানার পুলিস। আহত যুবককে মালদা মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস। তবে সন্দেহভাজন ওই যুবকের পরিচয় এখনও জানা যায় নি।
ওই শিশুকন্যাটির মামা ছোটন সিং বলেন, আমরা বিয়েবাড়ি নিয়ে মেতে ছিলাম। বাচ্চারা গানের তালে তালে নাচ করছিল। ওই সন্দেহভাজন যুবকও বাচ্চাদের নাচ দেখার বাহানায় দাঁড়িয়ে পড়ে। প্রথমে আমাদের কোনও সন্দেহ হয় নি। হঠাৎই আমার নজরে আসে ওই যুবক আমার ভাগ্নিকে কোলে নিয়ে হাঁটা দিয়েছে। আমি প্রথমে খানিকটা হতভম্ব হয়ে গেলেও চিৎকার করে তাকে দাঁড় করাই। ওই যুবক দাবি করে সে আমার ভাগ্নিকে বাজারে নিয়ে গিয়ে উপহার কিনে দিতে চাইছিল। অথচ তাকে আমরা কেউই চিনি না। সন্দেহ হওয়ায় আমার দিদিকে ডেকে নিয়ে আসি। কিন্তু সেও ওই যুবককে চিনতে পারে নি। তখনই আমাদের সন্দেহ হয় ওই যুবক আমার ভাগ্নিকে অপহরণের চেষ্টা করছিল। বিষয়টি জানাজানি হতেই অনেকে ছুটে আসেন। ওই যুবককে সামান্য মারধর করা হয়। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে ওই অজ্ঞাতপরিচয় যুবককে নিতে যায়।
শিশুকন্যাটির মা রুম্পা দাস বলেন, বাচ্চারা যখন গানের সঙ্গে নাচছিল তখনই ওই যুবক নাচ দেখার অজুহাতে দাঁড়িয়ে পড়ে। প্রথমে কেউ কিছু বুঝতে পারে নি। পরে আমার মামাতো ভাই ছুটতে ছুটতে এসে বলে একজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমি ছুটে যাই। কিন্তু অভিযুক্ত যুবককে চিনতে পারিনি। সবাই মিলে চেপে ধরলে সে বলে যে আমার মেয়েকে সে নাকি মিষ্টি খাওয়াতে নিয়ে যাচ্ছিল। অথচ তাকে আমরা কেউই চিনি না। পুলিস এসে ওই যুবককে থানায় নিয়ে গিয়েছে।
আমাদেরকেও থানায় ডেকেছিল পুলিস। যা ঘটেছে পুলিসকে তাই জানিয়েছি। ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বুড়াবুড়িতলা এলাকায়। পুলিসের বক্তব্য এখনও পাওয়া যায় নি। তবে মালদা ইংরবজবাজার থানার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, আমরা অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই এক শিশুকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছি। ঠিক কী ঘটেছিল তা জানতে সংশ্লিষ্ট সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।