অবতক খবর,৬ সেপ্টেম্বর,নদীয়া:- নদীয়ার শান্তিপুর রামকৃষ্ণ কলোনী নিবাসী অজিত দাসের বাড়িতে সাত সকালে রিমাসূ নামে এক কুড়ি বছর বয়সী মহিলা, হাজির হয়ে তার ছেলে অভিজিৎ দাসের স্ত্রীর দাবি করেন। ওই মহিলা বলেন, অভিজিৎ বিগত সাত মাস ধরে তাকে ভালোবেসে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে, এবং কৃষ্ণনগরে একটি হোটেল নবদ্বীপে আরেকটি হোটেলে বেশ কয়েকবার সহবাস করে।

বিয়ের জন্য, জোড়াজুড়ি করতে থাকলে গতকাল থেকে সে ফোনের সুইচ অফ করে রেখেছে। বাধ্য হয়ে বাপের বাড়ি ছেড়ে সে আজ এই বাড়িতে চলে এসেছে, কিন্তু অভিজিতের বাবা এবং মা তাকে বাইরে ধরনা দিয়ে বসে থাকতে দেখে ঘরের তালা মেরে পালিয়ে গেছে। এলাকার বহু মানুষ, তার ঘটনা শুনে প্রত্যেকেই পরামর্শ দেন শান্তিপুর থানায় বিষয়টি জানানোর জন্য। এরপর শান্তিপুর থানায় তিনি একটি লিখিত অভিযোগ জমা করে। কেস ডাইরিটি কোর্টে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে প্রশাসনিক সূত্রে।

এলাকা সূত্রে জানা যায় ওই মহিলার বিগত দিনে একবার বিবাহ হয়েছিল এবং একটি ছোটো সন্তানও আছে, অন্যদিকে অভিজিতের একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলেই দাবি করেন ওই মহিলা। তার দাবি এভাবে প্রত্যেকে লোক লজ্জার ভয়ে পিছিয়ে আসলে ঘটনা আরো বাড়তে থাকবে তাই, তার একটাই দাবি স্ত্রীর মর্যাদা দিতে হবে।

জানা যায় অভিজিৎ দাস শান্তিপুর হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষার কাজ করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং বিভিন্ন ডাক্তার বাবুদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। অন্যদিকে রিমাসূ নামে ওই মহিলা, বিয়ে দ্বিতীয় বছরের ছাত্রী একটি কিঅক্স ব্যাংকে অস্থায়ী কাজ করেন। আজ ধর্নার সময় তার দাদু, তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি, তার দাবি অতীতে তাদের পরিবার থেকে বয়স হওয়ার আগেই জোর করে বিবাহ দিয়েছিল আর তার ফলেই এই সন্তান, স্বামীর অত্যাচারে বাধ্য হয়ে সে বাপের বাড়ি আসে যার ফলে তার ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখন সাবালিকা হওয়ার পর তার ভালোবাসার দিচ্ছে না পরিবার , আইনের সাহায্য নিতে থানায় বিচার চেয়েছেন তিনি।

গতকাল বাপের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছেন অন্যদিকে হবু শ্বশুরবাড়িতে মেনে না নিলে, তার আত্মহত্যা করা ছাড়া অন্য কোন গতি থাকবে না, আর তার একমাত্র দায়ী থাকবে অভিজিৎ দাস এমন জানিয়েছেন আমাদের ক্যামেরার সামনে।