অবতক খবর,১২ মার্চ,অভিষেক দাস,মালদা:- শেষ কবে দেখা গিয়েছিল এই পেঁচা তা জানা নেই কারো। একসময় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হামেশাই দেখা মিলতো। তবে শেষ দেখা গিয়েছিল ১৯৮০ সালে। তারপর থেকে পশ্চিমবঙ্গে আর দেখা যায়নি। সেই বিরল প্রজাতির পেঁচা এবার দেখা মিলল মালদায়। গঙ্গা অববাহিকায় আকাশে উড়তে দেখা গেল বিড়াল প্রজাতির এই পেঁচা যার নাম ঘাস পেঁচা। গঙ্গা অববাহিকায় পাখি সমীক্ষা করার সময় ক্যামেরায় ধড়া পড়েছে এই বিলুপ্তপ্রায় পেঁচা। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে ১৯৮০ সালে বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে শেষ বার দেখা গিয়েছিল এই ঘাস পেঁচা বা অস্ট্রেলেশিয়ান গ্রাস আউলের।
এবার মালদা জেলার গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চলে এই পাখির দেখা মিলল। ইতিমধ্যে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে এই পাখির সুরক্ষা এবং সংরক্ষণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ঘাস পেঁচা বা অস্ট্রেলেশিয়ান গ্রাস আউল অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়া মহাদেশের সাধারণত দেখা যায়। ভারতবর্ষের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে বর্তমানে এই পাখি দেখা গেলেও পশ্চিমবঙ্গে তেমনভাবে এই পাখির খোঁজ মেলেনি এতদিন। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮০ সালে শান্তিনিকেতনে শেষবার এই পাখি দেখা গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে।
এছাড়াও জার্নাল অফ দ্য বোম্বে ন্যাচারাল স্টোরি সোসাইটি তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে ১৯২০ সালে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় এই পাখি দেখা গিয়েছিল। তবে সেই সময়কার কোন ছবি কোথাও বর্তমানে নেই। ১৯৮০ সালের পর ২০২৫ সালের ৯ মার্চ এই পাখির আবার দেখা মিলল মালদা জেলার গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চলে।
প্রতিবছর বন্ধ দপ্তর পরিযায়ী পাখির সমীক্ষা করে থাকে গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চলে।
কাঁটাহা দিয়ারা থেকে ফারাক্কা ব্যারেজ পর্যন্ত গঙ্গা নদীর তীর ধরে এই সমীক্ষা করা হয়ে থাকে। এই বছর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে এই সমীক্ষা চালাচ্ছিল মালদা জেলা বন দপ্তর। ৯ মার্চ প্রথম এই পেঁচার ছবি ধরা পড়ে। ১১ মার্চ পুনরায় সেই এলাকায় গিয়ে আরো দুইটি ঘাস পেঁচার ছবি তুলতে সক্ষম হন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা।
সাধারণত এই ঘাস পেঁচা তৃণভূমি অঞ্চলে দেখা যায়। অন্যান্য প্রজাতির পেঁচা যেমন লোকালয়ে দেখা যায়। কিন্তু এই পেঁচা দেখা যায় ঘাস জমি এলাকাতেই। মালদায় এ পাখির খোঁজ মেলায় খুশি জেলার পক্ষী প্রেমীরা তার সাথে সাথে এই পাখিকে সংরক্ষণ করার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।।