অবতক খবর: শনিবার, আজ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। সকাল থেকে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সময় যত এগিয়েছে , পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খু*ন, হিংসা, ভোটারদের ভয় দেখানো সহ দুস্কৃতি তাণ্ডব। এই আবহে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, ‘কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি এবং যেখানে সম্ভব আইএসএফ মিলিতভাবে টার্গেট করে তৃণমূল কর্মীদের হামলা করছে’ । এই প্রসঙ্গে কুনালের কথায়, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনজন খু*ন হয়েছে,রেজিনগর, তুফানগঞ্জ, খরগ্রামে নিহত হয়েছেন। বিজেপির মদতে কংগ্রেস-সিপিএমের মদতে নিহত হয়েছে, ভোটের প্রাক্কালে। ডোমকলে দু’জন গুরুতর আহত হয়েছে’।

এরপরেই রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবির ইস্যুকে খোঁচা মেরে দলের মুখপাত্র বলেন,’ কোথায় সেই তারা, যারা বার বার বলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই। নির্বাচন কমিশন বাহিনী নিয়ে রিকুইজিশন দিয়েছে। সেইসব কোঠায়’। কুনাল তোপ দেগে বলেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করে হাতে হাত মিলিয়ে কংগ্রেস, সিপিএম , বিজেপি এবং কোথাও কোথাও আইএসএফ তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা করছে’।

অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। জোর করে ভোট বন্ধ করে দেন স্থানীয়রা। বুথের ভিতর লুকিয়ে পুলিশ! হলদিয়ায় বাহিনী না থাকায় বুথের দরজা বন্ধ করে দিলেন বিরোধীরা।সাধারণ মানুষ পুলিশের পা ধরে বাহিনী চাইছে। হাতে বিষ নিয়ে প্রতিবাদ। বন্ধ ভোট গ্রহণ। অবশেষে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল তারাচাঁদ বাড়ের ৬৭ ও ৬৮ নম্বর বুথে। প্রায় তিন ঘন্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল এই বুথে। এই নন্দীগ্রামে আবার উল্টো ছবি প্রসঙ্গে কুনাল ঘোষ বলেন, ‘ নন্দীগ্রামে গতকাল রাতে বিচ্ছিন্নভাবে হামলার চেষ্টা করেছে, ভেকুটিয়াতে বাইক বাহিনী এসে বো*মাবাজি করে। মানুষ তাড়া করায় দুস্কৃতিরা বাইক ফেলে পালিয়ে যায়’।

কুনাল দাবি করে বলেন, ‘আমরা শান্তি চাইছে, কিন্তু বিরোধীরা প্রমাণ করে দিচ্ছে অশান্তি চায়। তাদের গুণ্ডা বাহিনী, তারা হিংসা তৈরি করতে চাইছে, বেছে বেছে তৃণমূল কর্মীদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি’। ্মানুষ উন্নয়নের জন্যেই তৃণমূলকে ভোট দেবে, এটা নিশ্চিত বুজেই বিরোধীরা হামলা চালাচ্ছে’। তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেলে দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষের এই বক্তব্য সংক্ষিপ্ত সময়ের ভিডিও আকারে পোস্ট করা হয়েছে।