অবতক খবর,২২ জানুয়ারি,বাঁকুড়া:- ৫০ শতাংশ দর্শককে নিয়ে যাত্রানুষ্ঠানের অনুমতি মিলেছে। ফলে ফের আশার আলো দেখছে চিৎপুর মেদিনীপুর আরামবাগ যাত্রাপাড়া, আশার আলো দেখছেন শিল্পীরা। নতুন করে ফের যাত্রার বুকিং শুরু হতেই অনেক শিল্পী ও কলাকুশলী পুরাণো পেশায় ফিরে আসছেন। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডের যুগে যাত্রা দেখতে মানুষের ভীড় কোথায়? মানুষ আর আগের মতো যাত্রা পালা দেখতে চাইছে না । করোনার প্রকোপে গত বছর থেকে ধুঁকছিল বাংলার ঐতিহ্যবাহি যাত্রাশিল্প। লকডাউন ওঠার পরও কোভিড আতঙ্কে যাত্রাপাড়ায় বুকিং কম ছিল।
তবে করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে উঠে আরামবাগ যাত্রা কমিটির একটি শাখা বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়র থানা চরগোবিন্দাপুর শঙ্খ সাধুর উদ্যোগের গ্রামীণ মকর মেলায় এসে করণা পরিস্থিতিতে তাদের দুটি বছরের অসহায়তার চিত্র তুলে ধরলেন আমাদের মুখোমুখি হয়ে ।
একটা সময় বাংলায় যাত্রাপালার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। চলচ্চিত্র জগতের অনেক নামী শিল্পীও যাত্রায় অভিনয় করতেন। সারা বছর কলকাতার চিৎপুর যাত্রা পাড়া থেকে মেদিনীপুরের যাত্রাপাড়ায় চরম ব্যস্ততা থাকতো। রথের দিন থেকে যাত্রাদলগুলো নতুন স্ক্রিপ্ট নিয়ে হাজির হতেন। এখন আর যাত্রাপাড়ায় সেই চেনা ছবি দেখা যায় না। গ্রামবাংলায় আর আগের মতো যাত্রাপালা হয় না। এখন হাতে গোনা কয়েকটি জেলা সহ চিৎপুর যাত্রাশিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
কিন্তু করোনার পর এই শিল্প একেবারে হারিয়ে যেতে বসেছিল। শো বন্ধ থাকায় অনেক শিল্পী ও কলাকুশলী ইতিমধ্যেই পেশা বদলে ফেলেছেন। লকডাউনের পর থেকে অনেক শিল্পী, কলাকুশলী এই পেশা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এখন তাঁরা আবার ফিরে আসছেন।”
তবে করোনা পরবর্তী আবহে পরিস্থিতি যে অনেকটা বদলেছে তা মানছে যাত্রাপাড়া। এবার অন্তত যে সংখ্যক বুকিং আসছে তাতে আর্থিক ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন যাত্রা কোম্পানির মালিকরা।