অবতক খবর,১৭ সেপ্টেম্বর: কাঁচরাপাড়া শ্রমিক অধ্যুষিত অঞ্চল। শ্রমজীবী মানুষের, খেটে খাওয়া মানুষের জন্য পশ্চিমবঙ্গে কাঁচরাপাড়া পরিচিতি পেয়ে গিয়েছে। কারণ এখানে রয়েছে ভারতবর্ষের অন্যতম রেল ওয়ার্কশপ কাঁচরাপাড়া রেলওয়ে ওয়ার্কশপ। ১৫০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে কিন্তু এমন ঘটনা ঘটেনি।
কাঁচরাপাড়া রেল ওয়ার্কশপ আজ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সম্পূর্ণ শুনশান। কারখানার গেট বন্ধ। বিশেষ করে এই বিশ্বকর্মার পুজোর দিন কারখানাকে ঘুরে দেখার জন্য, কারখানার যে কর্মকাণ্ড তা দেখার জন্য জনগণের কাছে খুলে দেওয়া হয়। বহিরাগত বহু মানুষ এই কাঁচরাপাড়া কারখানা দেখতে আসেন। কাঁচরাপাড়ার কারখানার বাইরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে এক মেলা বসে যায়, বিশ্বকর্মার পুজো উপলক্ষে মেলা। এতে অর্থনৈতিক লেনদেন হয়, সাধারণ মানুষের রুজি রোজগার হয়। আজ কাঁচরাপাড়ায় সেই দৃশ্য দেখা গেলনা।দেখা গেল বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক অবস্থা।
কাঁচরাপাড়া কারখানায় এবার গোনাগুনতি পুজো হয়েছে। নিশ্চয়ই পেছনে কারণ রয়েছে। করোনা বিধ্বস্ত এই সময়, সোশ্যাল ডিসটেন্সসিংয়ের মান্যতা দিতে হচ্ছে, স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হচ্ছে। ফলত, সেই পুজোর জাঁকজমক আর নেই। কাঁচরাপাড়ার বাইরের মানুষের সঙ্গে কাঁচরাপাড়ার মানুষের সেই সংযোগ এবার আর নেই। শপে শপে যে বিশ্বকর্মা পুজো হত তার জন্য যে আনন্দ, যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হত, প্রসাদ বিতরণ হত, বহিরাগত মানুষেরা এবং কাঁচরাপাড়ার মানুষেরা বছরে একবার কাঁচরাপাড়া কারখানা দেখবার সুযোগ পেতেন, তার ভেতরের সমস্ত মেশিন যন্ত্রপাতি দেখতে পেতেন এবং তারা পূজোর প্রসাদ গ্রহণ করতেন তার থেকে বঞ্চিত হলেন।
কাঁচরাপাড়ায় আজকে এই দৃশ্য সত্যিই একটি দুঃখবহ ঘটনা। এই বিশ্বকর্মা পুজোকে কেন্দ্র করে যে মিলন মেলা, মানুষের সঙ্গে মানুষের এই যে সংযোগ তা থেকে বঞ্চিত হল।আজ ২০২০ সালে বিশ্বকর্মা পুজোয় এতদিনকার যে ধারাবাহিকতা তা থেকে কাঁচরাপাড়া বঞ্চিত হল।