অবতক খবর, উত্তর দিনাজপুরঃ বাবার সাথে দিল্লিতে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথাবার্তার পরেই প্রেমিকের সাথে ফোনালাপ। বিয়ে করতে অস্বীকার করায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী কিশোরী দশম শ্রেনীর ছাত্রী। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ থানার বলাইগাঁও গ্রামে। মৃতা কিশোরীর নাম যোশেদা খাতুন ( ১৭) । মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রেমিক নাজিমুলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। মৃতার পরিবার প্রেমিক নাজিমুলকে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
বাবা শরিফুল হক মা’কে নিয়ে দিল্লিতে কাজ করেন। মেয়ে যোশেদা খাতুন উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদের বলাইগাও গ্রামে মামার বাড়িতে থেকে পড়াশুনো করত। স্থানীয় দুধুন্ডা হাইস্কুলে দশম শ্রেনীতে পড়াশুনা করত যশোদা। গ্রামেরই যুবক নাজিমুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে যশোদার। সম্প্রতি তার সাথে সম্পর্কের অবনতি হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে নাজিমুল তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। গতকাল রাতে দিল্লিতে কর্মরত বাবা শরিফুলের সাথে আধা ঘন্টার ভিডিও কল করে যশোদা। এরপর ফোনে কথা হয় প্রেমিক নাজিমুলের সাথে। এরপরই সবার অলক্ষ্যে বাড়ির পাশে একটি আম গাছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় যশোদা। একটি সুসাইড নোটও উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। এদিকে ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে প্রেমিক নাজিমুল।
