অবতক খবর,১৫ মার্চ: বীজপুরের ব্যবসায়ীরা হোন সাবধান। বীজপুরে ঘুরছে এক নতুন চক্র। এই চক্র যেকোন সময় ব্যবসায়ীদের চোখে ধুলো দিয়ে লুটে নিতে পারে। এই সংবাদ পড়ার পরেই সমস্ত বিষয় আপনাদের কাছে জলের মতো পরিস্কার হয়ে যাবে এবং আপনারা হয়ে যাবেন অবাক। হয়তো আপনারা এই ভেবে আশ্চর্য হবেন যে,এইভাবেও লোক ঠকানো যায়!!
কাঁচরাপাড়া সিটি কমপ্লেক্সের ভেতরে রয়েছে ইন্দিরা জুয়েলার্স। গতকাল সকালে ওই দোকানে এক ব্যক্তি আসে। ওই ব্যক্তি সোনা বিক্রি করতে চায়। ইন্দিরা জুয়েলার্সের মালিক সোনা যাচাই করেন এবং দেখেন তাতে হলমার্কের স্ট্যাম্প বসানো রয়েছে। ফলত, সন্দেহের কোন অবকাশ থাকে না যে সেটি আসল সোনা। ওই ব্যক্তি দোকান মালিককে বলেন যে, “আপনি কিছু টাকা এখন দিন,পরে আমি বাকিটা এসে নিয়ে যাব।”
ইন্দিরা জুয়েলার্সের মালিক যখন ওই সোনা গলাতে নিয়ে যায় তখন দেখা যায় সেটি নকল সোনা। ইমিটেশনের গয়নার উপর সোনার জল করা এবং তাতে হলমার্ক স্ট্যাম্প লাগানো।
ব্যাপারটি বোঝার পরেই ওই ব্যক্তি পরে টাকা নিতে এলে তাকে পাকড়াও করে ইন্দিরা জুয়েলার্সের মালিক। তখন ঐ ব্যক্তি নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে। কিন্তু ইন্দিরা জুয়েলার্সের মালিক প্রথমে যে টাকা দিয়ে দিয়েছে সেই টাকা ফেরত পাবে কি করে?
ওই ব্যক্তিকে চেপে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায় যে সে কাঁচরাপাড়া ২১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভিষেক বণিক নামে এক ব্যক্তির নাম করে। আরো জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়, অভিষেক বণিক কাঁচরাপাড়া ২১ নং ওয়ার্ডের প্রভাবশালী নেতা খোকন বণিকের ভাইপো।
ওই ঠকবাজ সোনা বিক্রি করার পর যে টাকা পেয়েছিল সেই টাকা অভিষেক বণিককে পাঠিয়েছে।
পরবর্তীতে বিষয়টি খোকন বণিককে ফোন করে জানানো হয় এবং ঘটনাস্থলে আসেন খোকন বণিক। তিনি এসে ওই ব্যক্তিকে সেখান থেকে নিয়ে চলে যান এবং যেহেতু তাঁর ভাইপো এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সেহেতু তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনই অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
তাদের অভিযোগ, অভিযুক্তকে খোকন বনিক কেন নিয়ে গেলেন? আর কেনই বা তিনি ওই ঠকবাজকে বাঁচাচ্ছেন?
এদিকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিমল চন্দ্র দাস বলছেন,আমরা টাকা পেয়ে গিয়েছি। সেই কারণে আমরা ঐ ঠকবাজকে ছেড়ে দিয়েছি।
এমতাবস্থায় অন্যান্য স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা প্রশ্ন তুলেছেন, যার সাথে এই ঘটনা ঘটলো সে টাকা পেয়ে গিয়েছে বলে ওই ঠকবাজকে ছেড়ে দেওয়া হল। কিন্তু ভবিষ্যতে যদি এরকম ঘটনা ঘটে তখন কি হবে? থানায় কেন অভিযোগ করা হল না? তাহলে কি কোন প্রভাবশালীর হাত মাথায় থাকলে এই ভাবেই বেঁচে যাবে ঠকবাজরা?