অবতক খবর : বীজপুরের রাজনীতিতে ইতিহাস রচনা করতে চলেছেন সুবোধ অধিকারী।
বিধায়ক পদে আসীন হওয়ার পর তিনি সর্বদা মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। শুধু নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেই নয়, তিনি বরাবর একজন সমাজকর্মী হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করে এসেছেন। আর এই মানুষই আজ তাঁকে বিধায়ক পদে আসীন করেছেন, এই কথা তিনি বারবার বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে, অভিষেক ব্যানার্জীর আদর্শে এবং বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে অভিভাবক হিসেবে তিনি সর্বদা পাশে পেয়েছেন। তাই তিনি মানুষের এত ভালবাসা পেয়ে বিধায়ক পদে আসীন হয়েছেন। এই সকল কথা বারবার উঠে এসেছে তাঁর বক্তৃতায়।
তবে তিনি এখন একটি বিষয় নিয়েই ভাবনার পড়েছেন যে, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বীজপুরে বিরোধী দল বিজেপি এবং সিপিএম যে এত ভোট পেয়েছে,সেই ভোটগুলি কিভাবে তাদের দিকে গেল সে বিষয়ে তিনি এখন পর্যালোচনা করছেন।
তাঁর কোথাও ভুল হয়েছে বলেই ওই ভোটগুলি বিরোধী দলের দিকে গেছে বলে তিনি মনে করছেন।
আর এই ভুল শোধরাতে অর্থাৎ যে ভোটগুলো বিরোধী দলগুলি পেয়েছে, সেই ভোট নিজের দিকে ফেরাতে তিনি এখন উঠে পড়ে লেগেছেন।
কোন বুথ ভিত্তিক আলোচনা কিংবা ওয়ার্ড অফিসে বৈঠক, অথবা কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান, সবকিছুতেই তিনি উপস্থিত থাকছেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিধায়ক বা নেতা হিসেবে নয় বরং ঘরের ছেলে হয়ে তিনি তাদের সঙ্গে মিশছেন,তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন এবং সহযোগিতার হাত বাড়াচ্ছেন।
তার বক্তব্য বারবার উঠে এসেছে যে, তিনি বীজপুরের জন্য এবং বীজপুরের মানুষের জন্য কাজ করতে চান। তাঁর আদর্শ নেতা মৃণাল সিংহ রায় (আবুদা)।
আবুদার স্বপ্ন ছিল বীজপুরকে এক অন্য রুপে দেখার,সর্বদা বীজপুরের মানুষের জন্য কাজ করতেন তিনি।
আবুদার সেই স্বপ্নকে পূরণ করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
বীজপুরে হাসপাতাল, কমিউনিটি হল,ভালো প্লে গ্ৰাউন্ড কিছুই নেই। আর এইসব কথা মাথায় রেখেই তিনি একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছেন।
তিনি হাসপাতালে অনুমতি নিয়েছেন, সেফ হোম করেছেন। হালিশহরের শ্মশানে দুটো চুল্লি উদ্বোধন করেছেন। তাঁর গড়ে উঠতে চলেছে কমিউনিটি হল।
এতদিন যে শুধু রাস্তাঘাট তৈরি করে মানুষকে বোকা বানানো হয়েছিল, সেটাকে উন্নয়ন বলা হয়েছিল, সেই উন্নয়নের সংজ্ঞাটাই পাল্টে দিতে চলেছেন বিধায়ক সুবোধ অধিকারী।
তিনি বলেন আমি বিধায়ক থাকাকালীন এমন কিছু কাজ করে যেতে চাই যা মানুষ কোনদিনও ভুলবে না। প্রকৃত উন্নয়ন কাকে বলে, বিধায়কের কাজ কাকে বলে, সেটা যেন বীজপুরের মানুষ চিরকাল মনে রাখে।
প্রায় চার মাস হতে চলেছেন তিনি বিধায়ক হয়েছেন।
আমরা জানতে পেরেছি,এই চার মাসে বীজপুরের প্রায় ১৭ হাজার পরিবারের মানুষের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। শুধু তাই নয়, তাদের সমস্যা শুনে সেগুলোর সমাধান করেছেন।
তিনি বলেন, তাঁর ভুলের জন্য অথবা কিছু মানুষের ভুলের জন্য যে ভোটগুলো বিরোধী দলগুলো পেয়েছে, সেই ভোটগুলো এখন আমার দিকে আনতে হবে।
আমি তৃণমূলের বিধায়ক হয়েছি ঠিকই, কিন্তু আমি সর্বদা চেষ্টা করি মানুষ যাতে কোন রং দেখে আমায় না চেনেন, মানুষ যাতে একজন সাধারণ ঘরের ছেলে হিসেবেই আমাকে দেখেন, আর সেই ভাবেই আমি মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। আমি নেতা হতে চাই না, আমি একজন সাধারন মানুষ হয়েই মানুষের পাশে থাকতে চাই।
বীজপুরের বহু মানুষের সমস্যাগুলো সমাধান করেছেন। মানুষের তাঁকে খুঁজতে হচ্ছে না। খুব সহজ ভাবেই মানুষ তাঁকে হালিশহর এবং কাঁচরাপাড়া পৌরসভাতে নিয়ম করে পেয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমি মানুষের জন্য দুই পৌরসভাতেই থাকছি, মানুষ আমার কাছে আসছেন। তবে আমি একটা কথাই বলতে চাই বিধায়ক হিসেবে নয় আপনারা আমাকে ঘরের ছেলে হিসেবেই দেখুন এবং আপনাদের যেকোনো সমস্যায় আমার সাথে দেখা করুন। আমি মানুষ এবং আমার মাঝে বিধায়কের এই পরিচয় রাখতে চাইছি না। কারণ মানুষ যাতে চিরকাল আমাকে মনে রাখেন এবং বলতে পারেন যে, হ্যাঁ এইরকম একজন বিধায়ক ছিলেন, যিনি বিধায়ক রুপে নয়, বরং আমাদের ঘরের ছেলে হিসেবে আমাদের পাশে থেকেছেন।
তিনি এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, বীজপুরের যত ভোটার রয়েছেন, তিনি প্রত্যেকের বাড়িতে যাবেন, তাদের পাশে থাকবেন, তাদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন।
ভোটের আগে তিনি যে সমস্ত কথা বলেছিলেন ভোট মিটে যাওয়ার পরে তিনি তাঁর কথার খেলাপ করছেন না।
ভোটের আগে তাঁর পরিচয় ছিল একজন সাধারণ সমাজকর্মী। কিন্তু এখন তিনি বিধায়ক, জনপ্রতিনিধি। তাই তিনি ২৪ ঘন্টা মানুষের জন্য কাজ করতে চান।
বীজপুরের অধিকাংশ মানুষের ভ্যাকসিন হয়ে গেছে। অন্যদিকে বীজপুরের বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে দুয়ারে সরকার।
এই সকল পরিষেবা পেয়ে মানুষ অত্যন্ত খুশি।
তিনি বলেন,বীজপুর শান্তিপ্রিয় অঞ্চল।এই অঞ্চলের মানুষ অশান্তি চান না। তাই আমরাও চেষ্টা করছি বীজপুরে শান্তি বজায় রাখতে।