অবতক খবর,৩০ নভেম্বর: বিভিন্ন মিডিয়ায় বিভিন্নভাবে প্রচারিত হচ্ছে যে, বীজপুরে যে সমস্ত চুরি সংঘটিত হয়েছিল সে ব্যাপারে বর্তমানে প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে বিষয়টি আনা হয়েছিল। তার পরেই বীজপুরের পুলিশ প্রশাসনিক অবস্থা প্রায় পুরোপুরি পাল্টে দেওয়া হয়। আইসি সহ তিনজন অফিসারকে বদলি করে দেওয়া হয় এটা একটা বড় বদলি এবং বীজপুর প্রশাসনের উপর সাধারণের যে আস্থা ছিল না, সেই অনাস্থার বিষয়ের পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। কিন্তু ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীন এই বীজপুর থানা। পুলিশ কমিশনারেটরা কি করছিলেন সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। প্রশাসনিক উচ্চপদস্থ হিসাবে তাদের দায়িত্ব থাকলেও বীজপুরের ক্ষেত্রে তাদের কি ভূমিকা ছিল জানা যায়নি। আবার অনেকে মনে করছেন এই বদলিতে অনেক পুলিশ কর্মচারীকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে।
এদিকে বড় করে ফলাও হচ্ছে যে বীজপুরে নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থা সৃষ্টির পর নতুন আইসি জয়প্রকাশ পান্ডে যিনি অত্যন্ত কড়া অফিসার বলে পরিচিত,তার আমলে পরপর চোর ধরা পড়ছে। এখন প্রশ্ন , জয়প্রকাশ পান্ডের যে ক্ষমতা সে তো তার যে পুলিশ বিভাগ রয়েছে তাদের নিয়েই কাজ করেন। তবে এতদিন বীজপুরে যে পুলিশ বিভাগ ছিল তারা তো এখনো সেই কাজই করছে, তবে তারা এতদিন সেটি করতে পারেন নি কেন?
অন্যদিকে সাধারণ মানুষের অভিযোগ,এই যে বিশাল চুরির ঘটনা ঘটেছে, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দোকান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চুরি হয়েছে, গয়না চুরি হয়েছে মুরগি পাড়া এবং অন্যান্য অঞ্চলের বিভিন্ন বাড়ি থেকে যা যা চুরি হয়েছে, চোর ধরা পড়ছে কিন্তু এইসব চুরিকৃত মাল কি ধরা পড়ছে? সেগুলো তারা ফেরত পাবেন কি? অর্থাৎ যারা এই ব্যাপারে ভুক্তভোগী, যাদের দোকান না বাড়ি থেকে চুরি হয়েছে তারা তাদের সমস্ত কিছু ফিরে পাবেন কি? এটা কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনও তেমন কিছু বলছে না। ফলত প্রশাসনিক এই ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মধ্যেও একটা দোমনা ভাব রয়েছে।
অন্যদিকে অঞ্চলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা সুদৃঢ় ও হলেও বিভিন্ন রকম ভাবে বেআইনি কারবার থেকে অর্থাৎ সাট্টা, লোটো থেকে কিন্তু কামাইবাজি চলছেই এবং তথাকথিত ডাকবাবু সেই টাকা রীতিমতো পেয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে পুলিশের ভূমিকা কি তা সাধারণ মানুষ জানতে চায়।