অবতক খবর,২৯ অক্টোবর: দেবী দুর্গা দুর্গতিনাশিনী। তিনিই সর্বজয়া, তিনিই অন্নপূর্ণা, তিনি আমাদের ঘরের উমা। উমা হিসেবেই তাকে আমরা ভালোবাসি। মা উমা ঘরের মেয়ে, কৈলাস থেকে বাপের বাড়ি আসে,এই আমাদের ধারণা। ধর্মোৎসব, পূজা উৎসব বড় কথা নয়। বড় কথা এই অনুষ্ঠানটিকে কেন্দ্র করে সমাবেশ,সম্মিলন, সংহতি, সম্প্রীতির এক আশ্চর্য উপস্থাপনা ঘটে বঙ্গোপসাগরীয় এই উপত্যকায়। এই অনুষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক মর্যাদা রয়েছে। বিদেশ থেকে আসেন মানুষ এই অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণ করতে। প্রবাস থেকে ঘরে ফেরে দেশজ সন্তান এই উৎসবটির কারণে।
এবার বীজপুর অঞ্চলে ১৮টি উল্লেখযোগ্য পুজো সংঘটিত হয়েছে। যার নেতৃত্বে ছিলেন মহিলারা। এই মহিলারাই হয়তো কোনদিন দুর্গা, দুর্গতিনাশিনী রূপে, দানব দলনী রূপে এই মর্ত্যভূমে অর্থাৎ আমাদের এই বসুন্ধরায় সক্রিয় হবেন। আসলে এই বঙ্গভূমে যেখানে কোন নারী আন্দোলন সেখানে দুর্গার আবির্ভাব। রণরঙ্গিনী মাতঙ্গিনী দুর্গাকে আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখেছি মৃন্ময়ী নয়, চিন্ময়ী রূপে বঙ্গভূমের বিভিন্ন আন্দোলনে। ধর্ম, জাতপাত,বর্ণ সমস্ত কিছুর প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে তারা সমবেত হয়েছে সেই সামাজিক আন্দোলনে। নারী শক্তির যে সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে সেটা তা প্রমাণ করেছে। বিভিন্ন কৃষক আন্দোলনে,জমির আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা আমরা দেখেছি।
যাই হোক, এবার বীজপুরে ১৮টি পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে,সংহতির উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার।
যে সমস্ত মহিলা সংগঠন পুজা সুসম্পন্ন করেছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন-
১.নব নারী শক্তি(হালিশহর ১৪ নং ওয়ার্ড),
২.নব দুর্গা সংঘ(কাঁচরাপাড়া ৮ নং ওয়ার্ড),
৩.সর্ব মঙ্গলা(হালিশহর ৭ নং ওয়ার্ড),
৪.কিশোর সংঘ(কাঁচরাপাড়া ২২ নং ওয়ার্ড),
৫.মহিলাবৃন্দ( কাঁচরাপাড়া সাহাপুকুর),
৬.নারী শক্তি(কাঁচরাপাড়া ধরমবীর কলোনি),
৭.মান্ধারী বাজার দুর্গোৎসব কমিটি,
৮.সূর্য সংঘ(হালিশহর সরকার বাজার),
৯.অমর সংঘ মহিলা বৃন্দ (হালিশহর ৮ নং ওয়ার্ড),
১০.অগ্নিদ্বীপ(কাঁচরাপাড়া ৭ নং ওয়ার্ড),
১১.নিউ পূর্বাচল মহিলাবৃন্দ(হালিশহর ১৫ নং ওয়ার্ড),
১২.বালক সংঘ ও মহিলা (হালিশহর সরকার বাজার),
১৩.সর্বোদয় মহিলা (কাঁচরাপাড়া জোড়াপুকুর),
১৪.বসন্ত পুকুর (হালিশহর ৫ নং ওয়ার্ড),
১৫.শরৎপল্লী অধিবাসীবৃন্দ(কাঁচরাপাড়া ২২ নং ওয়ার্ড),
১৬.সাহেব পুকুর মহিলা বৃন্দ(হালিশহর)।
১৭. নারী শক্তি(১৪ নং ওয়ার্ড হালিশহর)
১৮. নারী শক্তি কমিটি(১৪ নং ওয়ার্ড, হালিশহর)