অবতক খবর,২২ ডিসেম্বর: ভারতীয় রাজনীতিতে বর্তমান সময়ে এনআরসি এবং সিএএ দুটি শব্দ মারাত্মক মাত্রা নিয়ে দাঁড়িয়েছে। সারা ভারতবর্ষ উথাল পাথাল এই দুটি শব্দ নিয়ে। সাধারণ মানুষ, বুদ্ধিজীবী এবং পার্টি কর্মীরাও নেমে পড়েছে লড়াইয়ের ময়দানে। রুখে দিতে হবে এনআরসি এবং সিএএ।
ভারতবর্ষের দুটি প্রতিপক্ষ এখন বিজেপি এবং তৃণমূল। তৃণমূল অবশ্য কোনদিন বিজেপির সঙ্গে ঘর করেছিল। এখন বিজেপি এবং তৃণমূল আদায়-কাঁচকলায়। অথচ এই দুটি দলে প্রবেশ এবং প্রস্থান, আগমন এবং নির্গমন খুব দ্রুত চলছে। বিশেষ করে পশ্চিমবাংলায়। কে কখন বিজেপি, কে কখন তৃণমূল এটা সাধারণ মানুষের কাছে বোঝা দুষ্কর হয়ে গেছে। অথচ বিজেপি এনআরসি এবং সিএএ-র পক্ষে, তৃণমূল দল তার বিপক্ষে। এর জন্য সক্রিয় ময়দানে নেমে পড়েছেন দলের সুপ্রিমো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তাঁরই আশ্রয়পুষ্ট বুদ্ধিজীবীরা। অন্যদিকে অনুপ্রবেশ বন্ধ রুখতে এক সময়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর সংসদীয় ভাষণ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আবার তার দলের আট সাংসদ সিএবি-র বিরুদ্ধে ভোটদান করেন নি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূল দল এবং বিজেপি দুই দলেই এনআরসি এবং সিএএ লাগু করা বিশেষ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কারণ কে যে আসলে বিজেপির নাগরিক (সমর্থক),কে যে আসলে তৃণমূলের নাগরিক (সমর্থক)এটা বোঝা দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দুটি দল যদি কড়াকড়িভাবে এই নাগরিকত্ব লাগু না করে তাহলে দুই দলে যাতায়াত,আয়া রাম,গয়া রাম প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে। সুতরাং দেশের এনআরসি এবং সিএএ লাগু করার আগে নিজেদের দলের কর্মী সমর্থকরাই যথার্থ নিজের নিজের দলের নাগরিক কিনা সেটাই প্রমাণ করা উচিত।
একদিকে এনআরসি,সিএএ লাগু, অন্যদিকে কামাই বাজির রাজনীতি। এটি দুই দলেই সমানভাবে চলছে। আসলে কামাইয়ের জন্যই দলবদল। যেখানে সুযোগ সেখানেই যাও। কিন্তু এই যে ব্যাপক মানুষ,তাদের দেশটাকে যে বেঁচে দেওয়া হচ্ছে,এই যে বেসরকারিকরণ, এইযে বেকারদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, শিল্প আনবো বলে শিল্পের নামে শিল্পকলা (বুড়ো আঙুল) দেখানো, যাকে এক কথায় বলা হয় শিল্পকলা। এই যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, এসবের কথা দুটি দলের কেউই বলছে না। কারণ কি? আর একনিষ্ঠ দলীয় পরিচিতি রাখতে গেলে সারা ভারতবর্ষে এনআরসি এবং সিএএ চালু করার আগে নিজের দলেরই যথার্থ নাগরিকত্ব প্রমাণ করা উচিত বলে জনসাধারণ মনে করছে।