অবতক খবর,৩১মে: অবতক খবরের সংবাদ কর্মীরাও এর আগে বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। এটা পরিষ্কার করে বলা যায় যে,তারা যে সমস্ত দুর্বৃত্তদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা রাজনৈতিক মদতপুষ্ট এবং শাসকশ্রেণীর মদতেই তারা এই আক্রমণ চালিয়েছে। এর আগে আক্রান্ত হয়েছেন মহিলা সাংবাদিক কাজল বিশ্বাস,বেশ কয়েকবার আক্রান্ত হয়েছেন এই অঞ্চলের বিতর্কিত ক্ষুদে সাংবাদিক রঞ্জন ভরদ্বাজ এবং প্রবীণ সাংবাদিক তমাল সাহা। দুটি বিষয়ে তারা প্রশাসনের দ্বারস্থও হয়েছেন।
যাই হোক গতকাল আবার হালিশহরের সরকার বাজার অঞ্চলের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী নামে এক স্থানীয় পোর্টাল সাংবাদিককে হুমকি দেওয়া হয়। চিরঞ্জিত চক্রবর্তী নিজে জানিয়েছেন, তখন রাত প্রায় বারোটা,লকডাউনের পিরিয়ড চলছেঋ স্বাভাবিকভাবেই শুনশান অবস্থা চারিদিকে, সকলেই বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছেন, তিনিও বাড়িতে ছিলেন এবং তার পরিবারের সকলেই ঘরে ছিলেন। তিনি জানান,প্রায় ৮-১০ জন দুষ্কৃতী তার বাড়ির দরজায় লাথি মারে, ধাক্কাধাক্কি করে এবং হালিশহরের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই সংবাদটি যাতে প্রকাশিত না হয় তারজন্য তারা তাকে হুমকি দিয়ে যান।
চিরঞ্জিত চক্রবর্তী আরো জানান , দুর্বৃত্তরা মুখ ঢাকা অবস্থায় ছিল,তাদের তিনি শনাক্ত করতে পারেননি। এই অবস্থায় তিনি নিজে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। শুধু তিনি নন,তার পরিবারের সকলই একটা আতঙ্কজনক পরিস্থিতিতে ভুগছেন।
এই বিষয়ে কোনরকম প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কিনা এ বিষয়ে সাংবাদিক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী জানান যে, তিনি বাড়িতে তার অভিভাবকদের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছেন। তাদের মতামত নিয়েই তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন।
অবতক-এর সংবাদকর্মীদের পক্ষ থেকে আমরা জানাচ্ছি, অঞ্চলে যেসমস্ত ঘটনা, দুষ্কর্ম এবং রাজনৈতিক ঘটনা ঘটছে তার মূলেই রয়েছে যেকোনো রাজনৈতিক দলের মানুষেরা। তাহলে কি সংবাদকর্মীরা বেছে বেছে সংবাদ করবেন? কোন দলের অধীনে থেকে তাঁবেদারী করে তার দলের সংবাদ তাদের করতে হবে? তারা কি হুমকি দিয়ে কাজ হাসিল করতে চাইছেন ?
তবে অবতক সংবাদকর্মীদের পক্ষ থেকে আমরা জানিয়ে রাখছি যে, দলমত নির্বিশেষে সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে,খবর আমরা করবই।
আর আমরা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীকে অবতক-এর পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাই যে,আমরা যেকোনো সহযোগিতায় তার পাশে আছি। প্রশাসনিক অথবা সামাজিক স্তরে যদি কোন আন্দোলন বা প্রতিবাদ তিনি করতে চান অবতক তার পক্ষে আছে এবং থাকবে। যেখানেই সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনা সেখানে অবতক-এর উপস্থিতি আমরা নিশ্চিত করছি।
অবতক-এর পক্ষ থেকে আমরা দাবি জানাচ্ছি বীজপুর থানা প্রশাসন এই বিষয়টি তদন্ত করুক এবং অপরাধীদের দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করুক। এই দুষ্কৃতীরা অবিলম্বে গ্রেপ্তার হবেন আমরা বীজপুর থানার উপর আশা রাখছি।