অবতক খবর,১ আগস্টঃ বালি বালি আর বালি। এখন এই পরিস্থিতি হয়ে গেছে গোটা বীজপুর জুড়ে। যদি আপনারা কাঁচরাপাড়া গান্ধী মোড় হয়ে বাগমোড়ের দিকে যান তাহলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে ঠিক কি পরিস্থিতি রয়েছে এই রাস্তার। সব দেখেশুনেও চুপ রয়েছে পৌর প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় নেতারাও। সকাল,দুপুর কিম্বা রাত সর্বদাই বালি বোঝাই গাড়ি একের পর এক বেরিয়ে যাচ্ছে।ওই সকল বালির গাড়ি চালকদের জিজ্ঞাসা করলে তাদের মধ্যে কেউ বলছেন এলএনটি’র কাজ হচ্ছে সেই কারণে এই মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে,আবার অন্যদিকে সাধারণ মানুষ বলছেন, এই মাটি নাকি বেআইনিভাবে পাচার হচ্ছে। কারণ রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে বালি নিয়ে গিয়ে কিসের কাজ হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলেছেন মানুষ।
শহরবাসী বলছেন,করোনা পরিস্থিতি এখনো কাটেনি। আর এদিকে দূষণে ভরে গেছে চারিদিক। দূষণে মানুষকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করছে এই বালি মাফিয়ারা। এতো বালি কোথা থেকে আসছে? আদেও কি সেগুলো বৈধ? কাঁচরাপাড়া লক্ষ্মী সিনেমার পাশ দিয়ে কল্যাণীর দিকে যাওয়ার যে রাস্তাটি রয়েছে সেখানকার ব্রিজটির যা অবস্থা তাতে সেটি যে কোন মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। তখন সেই দায় নেবে কে?
ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এতো বালির গাড়ি এখান দিয়ে হু হু করে সারাদিনে বেরোচ্ছে তাতে আমাদের রাস্তায় চলাফেরা দায় হয়ে উঠেছে। এমনকি ছোট ছোট শিশুরা পর্যন্ত রাস্তা দিয়ে হেঁটে স্কুলে যেতে পারছে না। গাড়ির ধোয়া এবং শুকনো বালি মিশে একেবারে ধোঁয়াশা হয়ে থাকছে ওই অঞ্চল।
বিগত কিছুদিন আগেই অভিযোগ উঠেছিল, এই বালি এলএনটির নাম করে তোলা হচ্ছে এবং চলে যাচ্ছে অন্যদিকে। কাঁচরাপাড়া কোচ ফ্যাক্টরি সংলগ্ন অঞ্চলে এই বালির গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করেছিল। সেই সময়েই এই তথ্যগুলি উঠে আসে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলেছিলেন যে,গঙ্গা থেকে সাদা বালি তোলা যাবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও একের পর এক ডাম্পার, ছোট গাড়ি বোঝাই হয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে এই সাদা বালি। রাতের অন্ধকারে এমন কি দিনের আলোতেও চলছে এই বেআইনি কারবার।