অবতক খবর,১৫ মে: পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলছে শহরের কিছু স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা। কাঁচরাপাড়া বাগমোড় অঞ্চলের সেনকো গোল্ড,এম.পি জুয়েলার্স এবং অঞ্জলি জুয়েলার্স এই সমস্ত বড় বড় সোনার দোকানগুলো প্রশাসনের নির্দেশ কার্যত অগ্রাহ্য করেই সারাদিন খোলা রাখছেন দোকান। সারাদিন দেখা যাচ্ছে তাদের দোকানের হাফ শাটার খোলা এবং সেখান দিয়েই ক্রেতারা দোকানে ঢুকছেন। এইভাবেই চলছে তাদের কেনাবেচা। এ প্রসঙ্গে আমরা যখন তাদের সঙ্গে কথা বলি, তখন তারা বলেন যে, আমাদের পুলিশের সঙ্গে কথা হয়ে গেছে।

 

কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছেন শহরের অন্যান্য ছোট স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, নিয়ম তো সকলের জন্য এক। তবে কি তাদের বড় শোরুম বলে তারা কোন নিয়ম মানবে না? তবে কি থানা প্রশাসন দু’রকম নিয়ম করেছেন?

স্থানীয় অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বলেন, এরা তো বড় ব্যবসায়ী,তাই এরা কোন নিয়ম মানে না। যদি তারা সত্যিই নিয়ম মানত এবং পুলিশের ভয় পেত তাহলে তারা এটা করতে পারত না। আসলে এরা সব সময় পুলিশের সাথে রফা করেই দোকান খুলে রাখে। এরা সকাল ১০টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত দোকান খুলে রাখে।

অন্যদিকে বীজপুর থানা প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছিলেন শনি এবং রবিবার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান সম্পূর্ণ বন্ধ রাখবেন। কিন্তু সেই নির্দেশও তাদের মানতে দেখা যাচ্ছে না। আর সবচেয়ে বেশি বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে অঞ্জলি জুয়েলার্সের ক্ষেত্রে। কারণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এই পরিস্থিতিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে। কিন্তু তারা ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়েই খুলে রাখছেন তাদের শোরুম। আর তাদের কর্মীদের অধিকাংশ সময়ই দেখা যাচ্ছে শোরুমের সামনে বসে থাকছেন,তাও আবার মুখে মাস্ক ছাড়া।

বিষয়টি নিয়ে বীজপুর পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, আমরা সেখানে গিয়েছিলাম এবং তাদের শোরুম বন্ধ করতে বলেছিলাম। সাময়িকভাবে তারা শোরুম বন্ধ করলেও, কোনভাবেই নির্দেশ মানছেন না তারা।
এই বলে কার্যত দায় সেরেছে বীজপুর পুলিশ।

এদিকে সারাদিন তাদের দোকান খোলা থাকায় এবং পুলিশের এই নীরব ভূমিকায় ক্ষুব্ধ অঞ্চলের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।