অবতক খবর,১৬ অক্টোবর: হঠাৎ কি এমন রাজনৈতিক পরিস্থিতির উদ্ভব হল‌ যে বীজপুর বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়কে ফেসবুক ওয়াল ব্যবহার করে জানাতে হচ্ছে? ১৫ই অক্টোবর ফেসবুক ওয়ালে তিনি জানালেন, রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিলে কেমন হয়! আজ ১৬ অক্টোবর আবার লিখলেন, “রাজনীতি থেকে অবসর নেব কি নেব না তা ভবিষ্যতই বলবে। কিন্তু জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের সেবা করে যাব। জনসেবার মধ্য দিয়েই মানুষের সেবায় থেকে যাব। কারণ মানুষের মধ্যেই নারায়ণ বর্তমান। যেই নারায়ণ সেই জগন্নাথ সেই রাম। ”

তিনি এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছেন। জনসেবা করবেন, মানুষ সেবা করবেন, আবার তিনি জগন্নাথের নাম আনছেন, তার সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছেন রামকে। তিনি সম্প্রতি বিজেপি কর্মীদের সোচ্চারে বলেছেন, আগে বদলা পরে বদল। এই কি মানবসেবা, জনসেবার নমুনা?

রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, বদলা ও বদল দুটোই হবে। তিনি বলেছেন, বদলা আগে হবে, বদল পরে হবে। বলেছেন, বিজেপি দল থেকে গদ্দারদের তাড়াবেন। বলেছেন, সময় আসছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের পা অনেককেই ধরতে হবে। এমন গরম গরম ভাষণে বিজেপি কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করার পরেও, হঠাৎ এমন কি হল যে তাকে ফেসবুকের ওয়াল ব্যবহার করতে হচ্ছে? তাকে কি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না? বা তিনি নিজে গুরুত্ব পেতে চাইছেন?

তিনি প্রেসমিট ডাকলেন, আবার বাতিল করলেন। ‌ কেনই বা ডাকলেন, কেনই বা বাতিল করলেন কিছুই জানালেন না! ‌ এখন আবার বলছেন জনসেবার মধ্য দিয়েই তিনি কাজ করে যাবেন। ‌

বিরোধী তৃণমূল দল ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছে, ওর ডাক্তার দেখানো দরকার,মাথা কাজ করছে না। কেউ বলছেন লাইম লাইটে আসতে চাইছেন। এমনিতে তো পাত্তা পাচ্ছেন না। ‌ কেউ বলছে বিভ্রান্তির মধ্যে রাখতে চাইছেন, তিনি কোনদিকে যাবেন। ও সব পারে। পায়ে ধরতে পারে, ভুল স্বীকার করতে পারে, নিজেকে বিশাল কূটনীতিবিদ মনে করছে। এতদিন চুপ ছিল,নিস্তেজ ছিল। বাবা বিজেপিতে একটি পদ পাওয়ার পর একবার একটু কুঁদে উঠেছিল এবং সেই সময় এই সমস্ত কথাগুলো বলেছিলো। ‌ কিন্তু বুঝেছে বিজেপি রাজনীতি অত সোজা নয়। ‌এখন বলছে জীবসেবা করবে। বিবেকানন্দ হবে নাকি? এক বিরোধী নেত্রী বলেন, কামাইবাজি তো কম করেনি! বিবেকানন্দ কি কামাইবাজ ছিলেন? এতো বিবেকানন্দকে অপমান!!