অবতক খবর: গত শুক্রবার প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা চলে মারাথন জিঞ্জাসাবাদ। ইডি প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তার কাছ থেকে কি জানতে চেয়েছেই বিষয়ে সায়নী সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি। তবে জানিয়েছেন তিনি তদন্তে পূর্ন সহযোগিতা করেছেন। আগামী বুধবার ফের তাকে তলব করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
এই মামলার তদন্তে জিঞ্জাসাবাদের সময় আইও এর পাশাপাশি হাজির ছিলেন ইডি-র একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসারও জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। রেকর্ড করা হয় সায়নীর বয়ান। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, সায়নীর সঙ্গে কুন্তলের হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথন দেখিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে, কুন্তলের সঙ্গে সায়নীর যোগাযোগ বোঝাতে তাঁদের এক ফ্রেমে থাকা ছবিগুলিও দেখানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, কুন্তল ঘোষের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ সেরে বেরনোর পরপরই ফের একবার সায়নীকে তলবি নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ডেকে পাঠানো হয়েছে সায়নীকে। গতকাল সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সের দফতরে একটানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় যুব তৃণমূলের সভানেত্রীকে। সিজিও থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে বেশ কিছু নথিপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। আমি সেগুলো জমা দিয়েছি। আশা করছি, ওঁরা সন্তুষ্ট। ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করেছি। আমি এখানে প্রায় ১১ ঘণ্টা ছিলাম আজকে। আবার ডাকলে আবার আসব। আমাকে ওঁরা আবার ডাকবেন বলে জানিয়েছেন। সারা দিন থাকতে বললে থাকব।’ আগামী ৫ জুলাই ফের তাঁকে তলব করেছে ইডি।