একেই বলে ঠাণ্ডা মাথায় খুন! ক্ষমতা! ক্ষমতা! ক্ষমতা!
আজ ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে ফ্যাট ম্যান এর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল বিশ্বপাড়ার বড় মস্তান দাদা।
এক লক্ষেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। সেটা ছিল ১৯৪৫ সাল।
বেনিবানা
তমাল সাহা
মেয়েটি এখন প্রৌঢ়া—
বিকলাঙ্গ বলিরেখাময় মুখ।
সেই মহান বিস্ফোরণের পর জন্মেছিল মেয়েটি।
কোনোমতে এসে দাঁড়িয়েছে বৌদ্ধমঠের সামনে
নাগাসাকির এক দূরবর্তী অঞ্চলে থাকে।
হাতে তার বেনিবানা ফুল—
হাতজোড় করে কি বলছে যেন।
সম্মুখে বুদ্ধের ধ্যানময় মূর্তি।
কথাটি খুবই ছোট—
আমি তোমাকে দেখি, তুমি আমাকে দেখো
তফাতটুকু শুধু বোঝো—
বলেই দুচোখ বেয়ে ঝরে জল– কান্না
আর যুদ্ধ চাইনা….
ঐতিহাসিক ঘটনা,মর্মন্তুদ চিত্রঃ
প্রথম ছবিঃ অক্টোবর,১৯৪৫– শ্মশানে লাইনে দাঁড়িয়ে খালি পায়ে কিশোর, পেছনে স্ট্র্যাপ দিয়ে বাঁধা ছোট ভাই বা বোনের দেহ। ভ্রাতৃত্বের দায়বোধ। কিশোরটি শোকস্তব্ধ,নীরব নিথর। জানা যায় দাহকর্মীরা তার কাছ থেকে মৃতদেহটি নিয়ে দাহকার্য করে। কিশোরটি দাহকার্য সুসম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকে। নিশ্চিত নাগাসাকিতে বিস্ফোরণে কিশোরটির পরিবারে সে ছাড়া আর কেউই জীবিত ছিল না। দাহকার্যের দায়িত্ব পালন করে কিশোরটি চলে যায়। পরবর্তীতে অনেক অনুসন্ধান কার্য চালিয়েও কিশোরটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। Photographer: Joe O’Donnnell.
দ্বিতীয় ছবিঃ নাগাসাকিতে ফ্যাট ম্যানের বিস্ফোরণ।