অবতক খবর,১৬ সেপ্টেম্বর,ধূপগুড়ি,জলপাইগুড়ি: বিপদজনক অবস্থায় জাকোইঝোরা সেতু। ভেঙে পড়ছে কংক্রিটের চাঙ্গর। তৈরি হয়েছে ধসে পড়ার আশঙ্কা। ধূপগুড়ি ব্লকের সাঁকোয়াঝোরা ২ নং গ্রামপঞ্চায়েতের জাকোইঝোরা সেতুর বর্তমান অবস্থা এমনই। এলাকার বহু কৃষক ও ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করেন এই সেতু দিয়ে। ধূপগুড়ি যাতায়াতের প্রয়োজনে সংলগ্ন আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের মানুষও এই সেতুটি ব্যবহার করেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বর্তমানে যা পরিস্থিতিতে সেতুটি রয়েছে, যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। সেতুর ফাটল ধরে রড বেরিয়ে কঙ্কাল আঁকার চেহারা নিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে নিচের গার্ডয়াল। দু-পাশের রেলিংয়ে ফাটল। ধসে পড়ার মতো আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে গ্রামবাসীর মধ্যে। নিয়মিত কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত এই সেতুর উপর দিয়ে। হঠাৎই ভেঙে পড়ছে সেতুর কংক্রিটের চাঙ্গর। চিন্তা বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। এমনকি ভারী যান চলাচল করলে বড়ো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন গ্রামবাসীরা। ভগ্ন দশা সেতুর।
ধুপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির স্থানীয় সদস্যকে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে কমল রায় বলেন, বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বেশ কয়েকটি সেতু সম্বন্ধে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির জন্য কাজ করা যায়নি।
জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দুলাল দেবনাথকে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে বলেন, গুরুত্ব বুঝে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে সকলের সাথে কথা বলে দেখা হবে।
এবিষয়ে সাঁকোয়াঝোরা ২ এর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান স্বপ্না রায় কোন মন্তব্য করেননি।
সেতু নিয়ে বর্তমানে আতঙ্ক গ্রামে। ভারী যান চলাচলে ধসে যাওয়ার মত আশঙ্কা। প্রতিনিয়ত কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত। শুধু ধুপগুড়ি ব্লকের একাংশ নয়, ফালাকাটা ব্লকের ধনিরামপুর ১ ও ২ এর কৃষক,ছাত্রছাত্রী বহু মানুষ সমস্যায় পড়বেন। এমনি দাবি করা হয়েছে স্থানীয়দের তরফে। যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা। সম্প্রীতি ভগ্নদশা পরিস্থিতি সেতুর। জানানো হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ কৃর্তপক্ষকে বলছেন স্থানীয়রা। সমস্যা ছিল, নতুন করে পরিস্থিতি খারাপ তৈরি হয়েছে। সমাধান হবে। গ্রামবাসীদের দাবি দ্রুত মেরামত করা হোক বা সেতুটিকে পুরোপুরি ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হোক। প্রশাসন পুরো বিষয়টি নজরে নিয়ে তদন্ত করে দেখেই সিদ্ধান্ত নেবে। আশ্বাস মিলছে প্রশাসনের তরফে।
আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয়দের থেকে খবর শুনে সেতু পরিদর্শনে আসেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ দফতরের সদস্যা মিতালি রায়।