অবতক খবর,১ সেপ্টেম্বর: পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান ২ পঞ্চায়েত সমিতির বৈকুন্ঠপুর দু’নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান এর ইস্তফাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল রাজনৈতিক মহলে।
বৈকুন্ঠপুর দু’নম্বর পঞ্চায়েতের ১২জন সদস্যের মধ্যে ৯ জন সদস্যের অভিযোগ দুর্নীতি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান শর্মিলা মালিক এই অনুশোচনায় ইস্তফা। পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধানের মতবিরোধে স্তব্ধ পঞ্চায়েতের উন্নয়নের কাজ।
গত ২৭ আগষ্ট পূর্ব বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুর দু’নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান শর্মিলা মালিক ইস্তফাপত্র দিলেন বর্ধমান ২ বিডিওর কাছে। বৈকুন্ঠপুর পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ১২।
এই ১২ জন সদস্যের মধ্যে ৯ জন সদস্যের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান। কারো সাথে কোন আলোচনা ছাড়াই নিজের মতে কাজ করেন।
দীর্ঘদিন ধরে নিজের মত করে কাজ দেন পছন্দের লোকেদের এমনই অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্য হেমন্তবাবুর।
গত কয়েকদিন আগে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি যে প্যান্ডেল করা হয় সেই প্যান্ডেলের দুর্নীতি ধরা পড়ে।
এরপর তিনি বর্ধমান ২ বিডিওর কাছে গিয়ে তার ইস্তফা পত্র জমা দেন।
সদস্যদের অনুমান অনুশোচনায় তিনি নিজে থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তিনি এতদিনে বুঝতে পারায় এই ইস্তফা
বলে মনে করছেন সদস্যরা।
আগামী দিনে কোন পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হলে পঞ্চায়েতের কাজ ত্বরান্বিত হবে এলাকার উন্নয়নে বাড়বে বলে মনে করছেন সদস্যরা।বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা বলেন, ব্যাক্তিগত কারনেই প্রধানের ইস্তফা। এরসাথে দলের বা পঞ্চায়েতর কোন কারন নেই।বৈকুণ্ঠ পুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শর্মিলা মালিকের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তার কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।