অবতক খবর,১৫ মার্চ: মহম্মদ শামি আখতার নামের এক ব্যক্তি বৌবাজার থানায় ব্যাঙ্ক প্রতারণা সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগের বিষয়বস্তু এতদিনে আপনাদের কাছে পরিচিত। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি সেজে ক্রেডিট কার্ড চালু করার অছিলায় তাঁকে একটি লিঙ্কে ক্লিক করতে বলে কিছু দুষ্কৃতকারী। লিঙ্কে ক্লিক করার কিছু পরেই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় ৭০ হাজার টাকা। তদন্ত করতে নেমে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী অফিসার, সাব-ইন্সপেক্টর প্রীতম বিশ্বাস, অভিযুক্তদের হদিশ করতে করতে অবশেষে হাজির হন ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দেওঘর এবং জামতাড়ায়।
এর পর আর কী, অভিযুক্তদের ডেরায় হানা দেয় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি প্রতিরোধ শাখার একটি দল, গ্রেফতার হয় চারজন: ১) মিহিজামের বাসিন্দা মনোজ কুমার দাস (৪৬), যার অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে চোরাই টাকা। এছাড়াও তার কাজ ছিল এমন অ্যাকাউন্ট খুঁজে বের করা, যার মাধ্যমে বেনামীতে টাকা লেনদেন করা যায়, অ্যাকাউন্ট মালিকের অজ্ঞাতসারে, অথবা তাঁকে ভুল বুঝিয়ে। ইংরেজিতে এগুলিকে বলা হয় ‘mule account’; ২) জামতাড়ার বাসিন্দা উত্তম দাস (৩২), যার কাজ ছিল জামতাড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় এটিএম থেকে চোরাই টাকা তোলা, ৩) জামতাড়ার বাসিন্দা সখিচাঁদ দাস (৩৪), যে ছিল অবৈধ সিম কার্ড ও mule account যোগাড় করার, এবং এই গোটা কর্মযজ্ঞ সঞ্চালনার, দায়িত্বে; তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২৫টি সিম কার্ড এবং একটি এটিএম কার্ড; ৪) জামতাড়ার বাসিন্দা রামু দাস (২৫), যে ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি সেজে ফোন করে আখতারকে।
গত পরশু, অর্থাৎ ১২ মার্চ, মিহিজাম এবং জামতাড়া থেকে গ্রেফতার হয় এই দলটি, এবং স্থানীয় আদালতে ২৪ ঘন্টার ‘ট্রানজিট রিমান্ড’-এর অনুমতি পায় পুলিশ। চার অভিযুক্তকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়।