অবতক খবর: পঞ্চায়েত ভোটে বিষ্ণুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছিল অমরপুর পঞ্চায়েতের ৭, ৭ক এবং ৮ নম্বর আসনের ভোটকেন্দ্র। এই ভোটকেন্দ্রে ভোটের আগেরদিন অর্থাৎ শুক্রবার বিকেলে তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছিলেন সিপিএম কর্মী রাজিবুল শেখ। ভোটের দিন অর্থাৎ শনিবার সকালে তিনি কলকাতায় চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান।
মঙ্গলবার ভোটের ফলাফলে দেখা যায় বিষ্ণুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে তিনটি আসনে নির্বাচন হয়েছিল তার মধ্যে দু’টিতেই সিপিএমের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। তার মধ্যে অমরপুর পঞ্চায়েতের ৭ক আসনে সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ আজাহারউদ্দিন পেয়েছেন ৫৯৩টি ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী এবাদত শেখ পেয়েছেন ৩৬৭টি ভোট। ৭ নম্বর আসনে সিপিএমের প্রার্থী মাসকুরা খাতুন পেয়েছেন ৫৭২টি ভোট। এখানে তৃণমূল প্রার্থী ডলি বাগদি পেয়েছেন ৩৬৭টি ভোট। তবে এই ৮ নম্বর আসনে সিপিএম প্রার্থী সাদেক আলি মাত্র ৫ ভোটে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীর কাছে।
সিপিএম নেতা সাদেক আলি বলেন, “আমি নিজে অল্প ব্যবধানে হারলেও এলাকার মানুষ আমাদের দলের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। মানুষ এই হিংসাকে মেনে নেননি। অমরপুর অঞ্চলে যেখানে বিরোধীরা একটিও আসনে আগে জিততে পারেননি। শাসকদলের সন্ত্রাসের কাছে নতিস্বীকার করতে হয়েছিল সেখানে অমরপুর অঞ্চলে আমাদের দল ৫টি আসনে জিতেছে। এটাই আমাদের বড় জয়।”
তৃণমূল কংগ্রেসের অমরপুর অঞ্চলের সহ সভাপতি শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মানুষের রায় মাথা পেতে নিচ্ছি। অমরপুর পঞ্চায়েতে মানুষ আমাদের জিতিয়েছেন। উন্নয়নের পক্ষেই মানুষ রায় দিয়েছেন। আমরাও মানুষের পাশে আছি।”আউশগ্রাম ২ ব্লকের অমরপুর পঞ্চায়েতের মোট ১৯ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস জয় পেয়েছে ১৩টি আসনে। সিপিএম ৫ টি এবং বিজেপি একটি আসনে জিতেছে। প্রসঙ্গত, ভোটের আগের দিন এই সংঘর্ষ এবং খুনের ঘটনায় স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতা-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন নিহতের ভাই শেখ আজাহারউদ্দিন।