অবতক খবর,২৬ জুন: ১০ বছরের ভাইপোকে পুকুরের জলে ডুবিয়ে মারার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া হরিনঘাটা থানা বিজরা গ্রামে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে ঠিকই,কিন্তু কি কারণে ঐ ব্যক্তি তার ভাইপোকে খুন করল সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। এর পাশাপাশি পুলিশ জানায় যে, সেই মুহূর্তে ঐ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার না করলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলত। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ বাড়িতে জানিয়ে কাছের বাঁশ বাগানে যায় ১০ বছরের সৌরথ ঘোষ ওরফে পিকু। সে বলে যায় যে তার কাকা সমীর ঘোষ তাকে ডেকেছে। কিন্তু বেলা গড়িয়ে গেলেও তার দেখা মেলেনা, শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। অবশেষে দিনের শেষে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় হরিণঘাটা থানায়। পরের দিন সকাল আটটা নাগাদ ওই বাঁশঝাড় সংলগ্ন পুকুরে পিকুর দেখতে দেখা যায়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পাঠায় পুলিশ। এর পাশাপাশি নতুন করে সমীর ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
এদিকে বাঁশঝাড়ে কাকা সমীর পিকুকে ডেকেছিল জেনে তার প্রতি সন্দেহ হয়। এমনকি আত্মীয়-স্বজন এবং স্থানীয়রা সমীর ঘোষকে গণধোলাই দিতে উদ্যত হয়। সেই মুহূর্তেই পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। জানা গেছে,মৃত শিশুর বাবা তপন ঘোষেরা ৭ ভাই। আর তারা সকলেই কৃষিজীবী। পিকুর ঠাকুমা অপর্ণা ঘোষ বৃহস্পতিবার বলেন,ওই ৭ ভাইয়ের পারিবারিক সম্পত্তি হিসেবে একটি শ্যালো টিউবওয়েল রয়েছে। সেটি দীর্ঘ ৫-৬ ধরে সমীর ঘোষ চালায় এবং উপার্জন করে। সম্প্রতি তাদের সব ভাই সেটির হিসেব চায় এবং একবছরের টাকা তাদের দিতে বলে। তাতে তারও ভাগ থাকবে বলে স্থির হয়।
আর তারপর থেকেই সমীর লুকিয়ে চলাফেরা করছিল। দিন কয়েক আগে রাতের বেলা পিকু বাথরুমে যাবার সময় টর্চের আলোয় দেখে যে, কাকা সমীর ঘোষ তাদের রান্নাঘরে লুকিয়ে আছে। আর এই কথা পিকু বাড়ির সকলকে জানায়। এরপর সকলের সম্মিলিত খুঁজে বের করে ভৎর্সনা করে। সকলের ধারনা সেই রাগেই সমীর পিকুকে হত্যা করেছে।
তবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিণঘাটা থানার পুলিশ।