উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পুত্র শুভ্রজ্যোতি চ্যাটার্জিকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য মা-বাবা পাঁচটি হাসপাতালে ঘুরলেন। ব্যর্থ মা আত্মহত্যার হুমকি দিলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তাকে ভর্তি নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু প্রজন্মের মৃত্যু হলো চিকিৎসার অবহেলায়। প্রজন্ম আমার উত্তর ২৪ পরগণা জেলার ইছাপুরে বাস করতেন।
ভারতবর্ষ বলে দেশ নেই
তমাল সাহা
আমার কোনো দেশ নেই
তাই
আমার কোনো নিরাপত্তা নেই।
তাই
আমার কোনো হাসপাতাল নেই।
তাই
আমার কোনো চিকিৎসা নেই।
তবুও আমার কিছুই কি নেই?
আছে,আছে…
আমার আছে শুধু আর্তনাদ
আর আছে নীরব মৃত্যু!
পাঁচে পঞ্চবাণ–
এ জীবন তো খেলাড়ি জুয়ার।
পাঁচটি হাসপাতাল ঘুরেছি আমি
দেখেছি খোলা আছে
শুধু মৃত্যু দুয়ার।
আমি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
আমার নাম শুভ্রজ্যোতি
আমার মৃত্যুতে কার কি ক্ষতি!
মৃত্যু দিয়েছে নির্দেশ-সুপরামর্শ
ঘোষণা করো দেশের নাম—
ভারতবর্ষ!