ভারতের প্রথম ডাকটিকিট ও ২১ নভেম্বর ১৯৪৭
তমাল সাহা
সুমহান এই ভারতবর্ষ। অজস্র শহীদের প্রাণদানের এই ভারতবর্ষ।
একটি দেশের পরিচয় ও ঐতিহ্য বহন করে নিশ্চিত ভাবে ডাক টিকিট। ২১ নভেম্বর ১৯৪৭ ভারতের প্রথম ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়। সেই ডাকটিকিটে চিত্রিত ছিল ভারতীয় পতাকা সঙ্গে লেখা ছিল জয় হিন্দ।
২০১৫ সালে একাডেমি অফ ফাইন আর্টস কলকাতায় এক ডাটিকিট প্রদর্শনী হয়েছিল ৭ অক্টোবর, ১৩ অক্টোবর ২০১৫ পর্যন্ত চলেছিল সেই প্রদর্শনী।
ডাকটিকিট সংগ্রহ বিষয়ে টাইমস অফ লন্ডন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন জনৈকা মহিলা। তিনি বিজ্ঞাপনে জানিয়েছিলেন যে তিনি চিঠির থেকে খুলে নেওয়া ডাকটিকিট দিয়ে তার বৈঠকখানা ঘর সাজিয়ে তুলছেন। পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য ঘটনা এটি। জর্জ হারপিন নামে এক সাহেব ব্যুৎপত্তিগত নামের অর্থাৎ গ্রীক ভাষা থেকে ডাকটিকিট সংগ্রহের এই মহান কর্মটির নামকরণ করেছিলেন ফিলাটেলি।
ডাকটিকিট মানেই ইতিহাস ভূগোল বিজ্ঞান গণিত শিল্প সাহিত্য ক্রীড়াশৈলী স্বাস্থ্য সচেতনতা তথাকথিত ধর্ম মন্দির মসজিদ স্থাপত্য ভাস্কর্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সামাজিক উৎসব মনীষী, কী নেই তাতে!
ভারতবর্ষে ১ জুলাই ১৮৫২ সালে চালু হয় ডাকটিকিট সিন্ধু প্রদেশে। ওই টিকিটের নাম ছিল সিন্ধু ডক। সিন্ধু প্রদেশ এখন পাকিস্তানে।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ বাহিনী ও আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করেছিলেন আর ডাক টিকিট থাকবে না তাই কি হয়?
১৯৪৩ সালে হিটলারের জার্মানিতে প্রকাশিত হয়েছিল ছটি প্রচারমূলক ডাকটিকিট। এই ডাকটিকিটের পরিকল্পনা করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু নিজে এবং সেই মতো ডাকটিকিটের নকশা করেছিলেন শিল্পীরা। টিকিটগুলির মুদ্রণ কার্যে যুক্ত ছিল গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং ব্যুরো বার্লিন।
ছটি ডাকটিকিটে চিত্রগুলো ছিল এমন–
১) লাঙ্গল ও জমি চাষে মগ্ন কৃষক ২) জার্মান মেশিনগান থেকে গুলিবর্ষণরত শিখ সৈনিক ৩) মুমূর্ষু সৈনিক ও সেবাব্রতী নার্স ৪) চরকা কাটায় মগ্ন নারী ৫) হিন্দু মুসলিম ও শিখ সৈনিকের হাতে আজাদ হিন্দ পতাকা ৬) অখণ্ড ভারতের মানচিত্র এবং তার উপর পড়ে আছে ছিন্ন শৃঙ্খল
কাঁচরাপাড়ার অন্যতম ব্যক্তিত্ব গোষ্ঠবিহারী দে এই ডাকটিকিট সংগ্রহ বিষয়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। বিভিন্ন বিষয়ক কয়েক হাজার ডাকটিকিট ছিল তার সংগ্রহে।