অবতক খবর,৯ আগস্ট: ভারতে আসতে চেয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি বাংলাদেশের শরণার্থীদের!
সীমান্তে জড়ো হচ্ছেন শয়ে শয়ে মানুষ! প্রাণ বাঁচাতে এপার বাংলার
দুয়ার খোলার অপেক্ষায় ওপার বাংলার মানুষ !তবে খুলবে কি দরজা
বাঁচবে কি সয়ে সয়ে প্রাণ ?
ভারতে আসতে চেয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি বাংলাদেশের শরণার্থীদের!সীমান্তে জড়ো হচ্ছেন
শয়ে শয়ে মানুষ! প্রাণ বাঁচাতে এপার বাংলার দুয়ার খোলার অপেক্ষায় ওপার বাংলার মানুষ !
তবে খুলবে কি দরজা বাঁচবে কি সয়ে সয়ে প্রাণ ?সকলেই ভারতে আশ্রয় চান। তাঁদের সীমান্তেই আটকে দিয়েছে বিএসএফ। তবে জ়িরো পয়েন্টে দাঁড়িয়েই থাকেন ওই শরণার্থীরা।
কেউ কেউ আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। কেউ কেউ ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেন। শুক্রবার এমনই দৃশ্য চোখে পড়ল কোচবিহারের শীতলখুচির পাঠানটুলি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। তিনি বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। তার পরেই বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটের অভিযোগ উঠেছে সে দেশের নানা জায়গায়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশিদের অনেকেই ভিটে ছেড়ে ভারতে আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন। বুধবার জলপাইগুড়ির বেরুবাড়িতে বাংলাদেশে সীমান্তে জড়ো হয়েছিলেন অনেক মানুষ।
বিএসএফ জানায়, তাঁরা জ়িরো পয়েন্টে অপেক্ষা করছিলেন। সকলে ভারতে ঢোকার অনুমতি চান। যদিও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ফেরত পাঠায় বিএসএফ। শুক্রবার দেখা যায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষ বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসার জন্য শীতলখুচির পাঠানটুলিতে জড়ো হয়েছেন। বিএসএফ অবশ্য তাঁদের সীমান্তের ফেন্সিংয়ের আগেই আটকে রাখেন।
হাসিনার সমর্থনে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি ওই বাংলাদেশিরা ‘জয় ভারত মাতা’, ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে থাকেন। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বাংলাদেশি সীমান্তের পাশে ডাকুয়াটারির খর্ব নদীর পারে জমায়েত হন ওই বাংলাদেশিরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ভারতে প্রবেশ করতে পারেননি তাঁরা। সীমানায় মোতায়েন থাকা বিএসএফের ১৫৭ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তাঁদের জি়রো পয়েন্টে আটকে দেন এমনটাই সূত্রের খবর ।