অবতক খবর, নদীয়া: কলকাতার্ দমদমের বাসিন্দা শিবু দাস কাজ করতেন ডানলপ কারখানায়। শ্রমিক আন্দোলনের ফলে বন্ধ হয়ে যাওয়া অন্যান্য অনেক কারখানার মতো বন্ধ হয় ডানলপও। এক ভাই মা-বাবা এবং দুই কন্যা ও এক পুত্র কে নিয়ে গড়া সংসারের বিরাট খরচ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল আজ থেকে কুড়ি বছর আগে।
কলেজে ছাত্র পরিষদ করা এবং পারিবারিক অল্প বিস্তর রাজনৈতিক সহচর্য্য মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রিক আবেগ ভালোবাসা থেকে জন্ম নিয়েছিলো সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এক রোজগারের উপায়। এক নিকট আত্মীয়র সাথে প্রথম কলকাতা বড় বাজার থেকে কয়েকটি ফটো নিয়ে বসতেন বিভিন্ন রাজনৈতিক সভার শেষ প্রান্তে। যেখানে অনেক বয়স্ক ভিড় ঠেলাঠেলি করতে না পেরে বিশ্রাম নিতো তার পাতা ত্রিপলের কোনার একটু অংশে। কিন্তু সে ফুরসত এখন আর মেলে না, বেচাকেনা বেড়েছে আগের থেকে অনেক বেশি।
শিবু দাসের কথানুযায়ী “আজ থেকে পনের বছর আগে আবেগ বেশি থাকলেও এখনকার মতো পয়সা ছিল না অনেকের কাছে। এ সরকার আসার পরে সেই অর্থে দরিদ্র বলে কিছু নেই, সৎ ভাবে খেটে খেলে, মিলে দুবেলা দুটো অন্ন। সরকারি প্রকল্পের বিভিন্ন সহযোগিতা তো আছেই! রাজ্যের প্রায় প্রত্যেকটা জেলায় শিবুদাস খবর পায়, ১২ ক্লাসে পড়া মেয়ের হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন গ্রুপ থেকে। তা বাদেও এক মিটিং থেকে, আরেক মিটিং এর খবর পাওয়া যায় ছোট বড় মাঝারি নানা মাপের ক্রেতা হিসেবে আসা নেতাদের কাছ থেকে।”
প্রথমদিন রানাঘাটে ছাতিমতলায় বেচাকেনা হয়েছে বেশ ভালই, তাই বাড়ি ফেরত যাওয়ার প্রশ্নই ওঠেনি। পরেরদিন কৃষ্ণনগর সেরে বাড়ি পৌঁছাবেন একদিনের জন্য। তারপরেই আবার বাঁকুড়ায় সভা। এভাবেই রাজ্যের প্রায় প্রতিটা জেলায় ঘুরে বেড়ান তিনি।
তার দোকান মমতাময় হলেও বিভিন্ন কবি সাহিত্যিক, বরেণ্য দেশ নেতা, বর্তমান হালফিলের নেতা-নেত্রীদের নানা ফ্রেমে ছবি, চাবির রিং, মোবাইল কভার পোস্টার, ফ্লেক্স ব্যানার পর্যন্ত। 10 টাকার চাবির রিং থেকে শুরু হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বড় ছবি 300 টাকা পর্যন্ত তার সীমা।ক্রেতা সাধারণের কাছ থেকে জানা যায় “এলাকার বিভিন্ন দোকানে পাওয়া গেলেও, শিবুদার বেশিবিক্রির জন্য, পাইকারি দামেই মেলে একটি দুটি জিনিস। তা বাদে এত রকমের বিষয় মজুদ থাকে না সাধারন দোকানে।