অবতক খবর,৯ নভেম্বর: একেবারে ফিল্মি কায়দায় অপহরণ যুবক।হাওড়া স্টেশন থেকে সকলের সামনে যুবক কে কিভাবে গাড়িতে তুলে নিয়ে এলো অপহরণকারীরা তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন! ভীন জেলার অপহৃত যুবককে উদ্ধার করলো নববারাকপুর থানার পুলিশ,অভিযুক্ত ৩ জন কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পূর্ব আক্রোশবশত হুগলি জেলার এক যুবককে হাওড়া স্টেশন অঞ্চল থেকে অপহরণ করে নিয়ে তিন দুষ্কৃতী আটক করে রেখেছিল নববারাকপুর থানা এলাকায়। যুগবেড়িয়া অঞ্চলের একটি কারখানায় ওই যুবককে রাখা হয়েছিল নববারাকপুর থানার পুলিশ খবর পায়। অপহৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় অপহৃত যুবক কে উদ্ধার করে এবং এই অপহরণ কান্ডে জড়িত তিনজন আসামীকে গ্রেফতার করে। তদন্ত করে জানা যায় অপহৃত যুবক ও অপহরণ কারীদের এক সময় সহকর্মী ছিলেন। সেই সময় অপহৃত যুবকের মাধ্যমে কিছু টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন। আশা মোতাবেক লভ্যাংশ না পাওয়ায় তাদের মধ্যে বিবাদ ঝামেলা শুরু হয়। ফলে যুবক তার কাছ ছেড়ে দক্ষিণ ভারতে অন্যত্র কাজে চলে যায়। সেখান থেকে হাওড়া ফিরতি ট্রেনে বাড়ি ফেরার সময় তিনজন প্রাক্তন সহকর্মী কতৃক অপহৃত হন।
তাকে আটক করে রেখে মারধর ও করা হয় এবং মোটা টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ।৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু পরবর্তীতে পরিবারের কাছে ৪ লাখ টাকা চাওয়া হয়,তা না হলে যুবককে(শেখ নাজির হাসান) মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।শেখ নাজির কে ২৪ ঘন্টা আটকে মারধর করা হয়,তার কাছে থাকা মোবাইল,ল্যাপটপ, ১৬ হাজার টাকা সবই কেড়ে নেওয়া হয়,যা সবটাই পরবর্তীতে পুলিশ উদ্ধার করে।আজ শনিবার দুপুরে অভিযুক্ত তিন জনকে মেডিক্যাল করিয়ে পুলিশি হেফাজতে আবেদনে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালত নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশের এই ভূমিকায় খুশি নাজিরের পরিবার।একসময় ছেলেকে উদ্ধার হবে বলে মন থেকে উঠেগেছিলো।অবশেষে খানাকুল থানার মারফত নববারাকপুর থানার পুলিশি তৎপরতায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং নাজির কে অন্যত্রে নিয়ে যাওয়ার আগেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত তিনজন কে গ্রেপ্তার করে।
ধৃত দুষ্কৃতীরা হলেন তারক দাস(৪১) বাড়ি বনগাঁ থানার চাঁদাবেড়িয়া।তারক পাল(৪০) বাড়ি হাবরা থানার মছলন্দপুর বেতপুল। সলমন মন্ডল(২৭) বাড়ি অশোকনগর থানার মোমিমপুর।