আউশগ্ৰামে কয়েকশ বিঘা ধানি জমিতে আমন ধান পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানাল চাষীরা। সেচের জলের অভাবে মাঠে খরা, ধান অপুষ্ট হয়ে রইল। তার প্রতিবাদ করেন চাষী বুড়ো টুডু,মুনু হাঁসদা। তাদের কথা……..
ভুখাশ্রী
তমাল সাহা
ই শালো! কৃষি মন্ত্রী আইছে,
কিনা কৃষিমেলা উদ্বোধন হবেক।
ই তো নবান্নের সময় বটে,
ধান উঠবেক ঘরে,
পিঠে হবেক,
বাবুরা গপাগপ খাবেক্
মুখে বড় লালচ হে,
জিভ দিয়ে সোয়াদ লিবেক।
পিঠেশ্রী উৎসব হবেক।
আরে মন্ত্রীবাবু!
দিখ ই খরার মাঠে শুকাইন গেলো
সব আমন ধান।
আরে মু দিগনগর-দুই পঞ্চায়েত
লক্ষ্মীগঞ্জের চাষী বুড়ো টুডু বুইলছি—
ইবার সিচের জল পাই লাই।
র্যা,বুরবক মন্ত্রী!
ধানগুলান সব নষ্ট হইন গেছেক।
দিখে যা,সব আমন ধানের অব্স্হা কি হইনছে।
ধানের বুকে কুনো দুধ লাই,
পুরুষ্ট হোবার পারেক লাই ধান,
মুদের চোখে জল আছে,
কিন্তু মুদের জমিতে সেচের জল লাই।
উ দেখ, জমিন! কুত্ত ধান লষ্ট হইছেক
লে কুত চাউল খাবি খা!
মুরা ধান সব পোড়াই দিলম।
মুদের মেইয়্যে নষ্ট হইয়ে গিছে।
উতে আগুন জ্বাইল্যে দিলম।
ওর মুখে আগুন দিলম।
উ এখন স্বর্গেটো যাবেক।
আমাদের ই জমিনে রিখে দিয়ে স্বর্গেটো যাবেক।
ই দেখ মুদের খালি প্যাট।
ই আগুন যতদূর যাবেক,
মুদের প্রতিবাদ ততদূর যাবেক।
মুরা চুখের জল আর পিটের আগুনের সঙ্গে কুথা বলি।
মুদের আর কুথা বুলার কোনো লোক লাই রে।
আর কুনো লোক লাই।
ই দেখ চাষীর উদলা প্যাট,
ভুখা প্যাট,
ইবার তুরা ই মেলার নাম দে, ধান্যশ্রী।
আর মুদের মিটিংয়ে ডেইকে লে,
আর ইকটো করে মানপত্র দে
উতে লিখা থাক বড় সুন্দর কথাটো
মুরা শালো তুদের পুরস্কার মেনে লিলম,
বুললাম, মুরা হলম আজ থিকে— ভুখাশ্রী।