অবতক খবর,২৮ মার্চ : জিও সংস্থার নামে ভুয়ো কল সেন্টার চালু করে ভারতীয় নাগরিকদের প্রতারণা। সেক্টর ফাইভের ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দিয়ে দশ মহিলা সহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করলো বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। উদ্ধার একাধিক ইলেকট্রনিক্স গেজেট ও নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা।
পুলিশ সূত্রে খবর, সটলেকে সেক্টর ফাইভ এর মার্টিন বার্ন বিজনেস পার্ক অফিসে ভি এইচ এম বিজনেস সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থা চালানো হচ্ছিল। মূলত দেবদাস এবং হরিণী নাথ মিলে এই সংস্থা চালাচ্ছিলেন। গতকাল সূত্রে মারফত খবর পেয়ে, সেই অফিসে হানা দিলে পুলিশ জানতে পারে দীর্ঘ দুই বছর ধরে এই সংস্থা বেআইনিভাবে চালানো হচ্ছিল। সংস্থার নিজস্ব কোন কাগজপত্র ছিলনা এবং ওই বিল্ডিং এর মালিকের সঙ্গেও কোন চুক্তির কাগজ অভিযুক্তরা দেখাতে পারেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এরপরই পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে এই সংস্থার মাধ্যমে ভারতের আসাম মেঘালয় সহ বিভিন্ন রাজ্যের মানুষকে ফোন করা হতো। সেখানেই তাদেরকে বলা হতো রিলায়েন্স জিও সংস্থার পক্ষ থেকে ফোনটি করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কোন সময় জিও ফিউচার কেয়ার বা কোন সময় জিও ফিনান্সিয়াল লোন ডিপার্টমেন্ট এর পক্ষ থেকে ফোন করা হচ্ছে বলে জানানো হত। এরপরে সাধারণ মানুষদের লোন দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করত প্রতারকরা।
গতকাল রাতে সেক্টর ফাইভে সেই ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দিয়ে ১০ জন মহিলা সহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই সংস্থার দুই কর্ণধার দেব দাস এবং হরিণী নাথকে ওই সংস্থার অফিস থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অফিস থেকে দুটি কম্পিউটার ২৩ টি মোবাইল ফোন, একটি অ্যাপেল আইপ্যাড, ২৪টি কিপ্যাড মোবাইল ফোন, ১৪ টি ডেবিট কার্ড, চারটে অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার সহ নগদ ৫ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা বাজেয়াপ্ত করে বিধান নগর সাইবার ক্রেন থানার পুলিশ। আজ অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসা করার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা যুক্ত আছে সেই বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।