অবতক খবর: ভোট পরবর্তী হিংসা মোকাবিলায় কড়া ব্যবস্থা নিতে জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব। প্রসঙ্গত, গতকালই কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশের পরই বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব।
সেখানেই জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের ভোট পরবর্তী হিংসা মোকাবিলায় কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে আরও ১০ দিন থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন নবান্নে রাজ্যের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজি ও আইজি বিএসএফ এস সি বুডাকোটি বৈঠকে বসেন। আইজি বিএসএফ এস সি বুডাকোটি-ই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ন্ত্রণ করছেন। হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়িত করতে এদিন বুডাকোটির সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।
সূত্রে খবর, জেলার পুলিস সুপার ও কমিশনারেটগুলোর সঙ্গে এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ ভিডিও কনফারেন্স করেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজি। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোনও পরিস্থিতিতে আর ভোট পরবর্তী হিংসা ঘটতে দেওয়া দেওয়া যাবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গাড়ি সহ যাবতীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে হবে। যাতে তারা কোনও অভিযোগ করতে না পারে।
পাশাপাশি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সব স্পর্শকাতর এলাকাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে রুট মার্চ করাতে হবে। প্রত্যেক স্পর্শকাতর এলাকায় রুট মার্চের শেষে সেই এলাকাতে যে রুট মার্চ করা হয়েছে, তার প্রমাণস্বরূপ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ব্লকস্তরের নোডাল অফিসার ও থানার নোডাল অফিসারের কাগজে সই রাখতে হবে। স্পর্শকাতর এলাকাতে ঘোরানো হয়নি এই অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে ফের না করতে পারে, সেই কারণেই এই নির্দেশ।
একইসঙ্গে এদিনের বৈঠকে বিজয় মিছিল করতে দেওয়া যাবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত ভোটের পরই কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে বিএসএফ বিস্ফো*রক অভিযোগ তোলে যে তাদের স্পর্শকাতর এলাকার তালিকা দেওয়া হয়নি। যথাযথ লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া হয়নি। এমনকি বাহিনীকে ঠিকভাবে মোতায়েন করা হয়নি। গতকাল হাইকোর্টে জমা দেওয়া হলফনামাতেও এইসব অভিযোগ উল্লেখ করে বিএসএফের আইজি। জানা যাচ্ছে, এদিন রাজ্য প্রশাসনের তরফে ভিডিয়ো কনফারেন্স করে সব জেলা সুপার ও কমিশনারেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আর যাতে এধরনের কোনও অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনী না তুলতে পারে।