ভারতীয় নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলদের জন্য প্রতীকচিহ্ন নির্দিষ্ট করেছেন। গুগল খুলে দেখে টুকুন এত প্রতীকচিহ্ন!এত রাজনৈতিক দল! সব্বাই করবে দেশের মঙ্গল?

ভোট সিম্বল
তমাল সাহা

আমি এক আকাট মানুষ।
প্রতিমুহূর্তে ভাবি টুকুনের মতো মেয়ে
আমার জন্ম হলো কেন?
নক্ষত্র যদি হতো আকাশের গায়ে
অনেক দূরে টিমটিম জ্বলতো,
আমার দিকে চেয়ে থাকতো যেন।

টুকুনের এতসব প্রশ্নের
উত্তর কি দিতে আমি পারি?
আমি এক আচাভূয়ো মানুষ
একদম আনাড়ি!

বাবা, গুগলে দেখলাম
ভোটের হরেক রকম প্রতীকচিহ্ন —
এ যেন চোখের আরাম।
ছাতা-আশ্রয়, বটগাছ- প্রাণ,
সূর্য-রোদ, টর্চ-আলোক প্রদান।
কাস্তে-হাতুড়ি-বেলচা-কোদাল
সবই তো জীবনের সকাল বিকাল।
ঘাসফুল, পদ্মফুল, গোলাপ দেখেছি
সব মধু খেয়ে গেছে মৌমাছি।
এখন দেখছি এসি মেশিনও আছে,
আছে ক্যাপসিকাম।
এত চিহ্নের কোনটাতে দেব ভোট
বলো তো বাবা, এই চাঁদিফাটা রোদ
সেই থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ঝরে যায় ঘাম।

বাবা, সব চিহ্ন খুঁজে পাই,
এদিক ওদিক তাকাই,
হন‍্যে হয়ে ওল্টাই চিহ্নের ধারাপাত।
কেউ বলছে না ভাত চিহ্নে দিন ভোট।
এই কথা বলতে বলতে কেঁপে ওঠে
টুকুনের রক্তবর্ণ ঠোঁট—
বাবা! ভাত-ই তো আসল প্রতীক চিহ্ন,
তুমিই বলোনা,মানুষের জন্য!
গণতন্ত্র! গণতন্ত্র! সেটাই নেই, হায়!
এরা নেবে মানুষের দায়?

আমি বলি,
এই চিহ্ন ভারতীয় গণতন্ত্রে থাকবে কেন
দু মুঠো ভাত তো ওরা দিতে পারবেনা কোনোদিনই এটা তো সত্যি।
ভারতীয় গণতন্ত্র কত সৎ, দেখো টুকুন!
মিথ্যে কথা বলে না একরত্তি।

ভোট আসে, ভোট যায়…
ভাষণে ভাষণে কেটে যায় রাত।
অন্ধকারে কারা সানকি সাজায়
যদি আকাশ থেকে
ঝরে পড়ে রাশি রাশি ভাত!