অবতক খবর: বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হাওড়ার মঙ্গলাহাট। শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান সেরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘুরে দেখলেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। বললেন, ‘সিকিউরিটির লোক রাখতে হবে।’ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আচমকা আগুন লাগে মঙ্গলাহাটে। ভস্মীভূত প্রায় ১হাজার দোকান। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। আগুন নেভাতে দমকলের সঙ্গে হাত লাগান স্থানীয়রা। আগুন লাগার কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা অব্যাহত।
ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। দোকানদারদের অনেকেই তাঁর কাছে মঙ্গলাহাটকে মেরামত করে দিতে আর্জি জানান। বিকল্পের কথা বলেন মুখ্য়মন্ত্রী। পরে ঘোষণা করেন, এই অগ্নিকাণ্ডে সিআইডি তদন্ত করা হবে। আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে তদন্তকারীদের, এমনটাই জানা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আচমকা আগুন লাগে মঙ্গলাহাটে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় প্রায় ১ হাজার দোকান। ব্যবসায়ীদের দাবি, স্থানীয় প্রোমোটার শান্তিরঞ্জন দে, হাট ভেঙে বহুতল তৈরি করতে চাইছিলেন। সেই কারণে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে প্রোমোটার বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। সকালেও পুরোপুরি নেভেনি আগুন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। অভিযুক্ত প্রোমোটারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। মন্ত্রী অরূপ রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ব্যবসায়ীরা।