অবতক খবর: শনিবার সকালে অশান্ত মণিপুরের উদ্দেশে রওনা দিল ‘ইন্ডিয়া’ জোটের প্রতিনিধি দল। ১৬টি দলের ২০ জন প্রতিনিধি এদিন দিল্লি বিমানবন্দর থেকে মণিপুর রওনা দেন। ইম্ফলে পৌঁছে কপ্টারে চুড়াচাঁদপুর যাওয়ার কথা এই প্রতিনিধিদলের। রবিবার তাঁরা সাক্ষাৎ করতে পারেন মণিপুরের রাজ্যপাল অনুসূয়া উইকের সঙ্গেও।
কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে যাচ্ছে প্রতিনিধি দলটি। তৃণমূলের তরফে রয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব, আরডেজির মনোজ কুমার, আপের সুশীল গুপ্তা, কংগ্রেসের গৌরব গগৈ, ডিএমকের কানিমোঝি-সহ জোট শরিকের ২০ জন। সেখানকার উপদ্রুত এলাকা তাঁরা পরিদর্শন করবেন। যাবেন ত্রাণ শিবিরগুলিতেও।
উত্তপ্ত মণিপুরের বর্বরোচিত ঘটনায় সংসদের ভিতরে ও বাইরে একজোট ‘ইন্ডিয়া’ জোট নরেন্দ্র মোদি সরকারকে চাপে ফেলে দিয়েছে। ঐক্যবদ্ধ বিরোধী জোটের আন্দোলনের জেরে স্বয়ং মোদি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছেন। এমনকী, নানাভাবে ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ করলেও সংসদে আসছেন না। এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের দু’দিনের মণিপুর সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিরোধী সাংসদদের মণিপুর যাওয়া নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, শুধুমাত্র লোকদেখানোর জন্য মণিপুর যাচ্ছেন জোটের প্রতিনিধিরা। এর আগে তাদের আমলে যখন মণিপুর জ্বলেছে, তখন সকলে মুখে কুলুপ এঁটেছিল। এরপরই যোগ করেন, তাঁরা মণিপুর থেকে ফিরলে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে বলব যেন ওই দলকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যান। তাঁকে জিজ্ঞেস করতে চাই সে রাজ্যে মহিলাদের ওপর যা হচ্ছে, তাকে কি তিনি সমর্থন করেন?জস্থানে যখন একই ঘটনা ঘটে, তখন বিরোধীরা সেখানে যায়নি কেন সবমিলিয়ে ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধি দল মণিপুর রওনা দিতেই তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।