অবতক খবর: মতুয়াদের একাংশ রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়েছেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের ওপরে। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরনগরে এলে তাঁকে মতুয়াদের মূল মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আর এই সংস্কৃতির জন্য মতুয়াদের বদনাম হয়েছে। শান্তনু ঠাকুরকে কাঠগড়ায় তুলেছে মতুয়াদের একাংশ রীতিমত ক্ষুব্ধ।
দলেরই বিক্ষুব্ধ নেতারা এখন বিজেপির ভোটের পথে কাঁটা বিছিয়েছে গোঁজ প্রার্থী হয়ে। তাঁরা নির্দল হয়ে লড়াই করছেন। সুতরাং মতুয়া সমাজের একটা বড় অংশের ভোট ভাগ হওয়ার আশঙ্কা করছেন শান্তনু। বনগাঁ মহকুমা, কল্যাণী, রানাঘাট মহকুমায় বিরক্ত দলের নিচুতলার কর্মীরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই তিন মহকুমা এলাকায় প্রায় ২৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিজেপিরই গোঁজ প্রার্থীরা। নির্দল প্রার্থী হিসেবে তাঁরা লড়ছেন। এই নির্দল প্রার্থীরা বিজেপির কাঁটা হয়ে উঠতে পারে বলেই চিন্তায় পড়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। কারণ তার সুবিধা পাবে তৃণমূল কংগ্রেস।
অন্যদিকে, বনগাঁ মহকুমায় তিনটি ব্লক রয়েছে। বনগাঁ, বাগদা এবং গাইঘাটা। তিনটি ব্লক মিলিয়ে মোট ৩৮টি পঞ্চায়েত। গ্রাম পঞ্চায়েত আসন সংখ্যা ৯২৪টি। বিজেপি ৮৩৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ৮৭টি আসনে বিজেপির প্রার্থী নেই। পঞ্চায়েত সমিতির আসন ১১৪। তার মধ্যে ১১২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। আর জেলা পরিষদের ৯টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। সেখানে গ্রাম পঞ্চয়েতের একই আসনে একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন দিয়েছেন। গোঁজ প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করাতে ব্যর্থ তাঁরা। নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন লড়ার সংখ্যা বিপুল হওয়ায় চিন্তা বেড়েছে।